সিলেট জেলায় গ্রাম আদালতে গত এক বছরে ১২৪৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। আর এক বছরে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে ২০ লাখ ৮১ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টম্বর) সিলেটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সিলেট জেলা পর্যায়ে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের বার্ষিক অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক সভায় এ তথ্য উঠে আসে।
গত এক বছরে জেলার ১৪৩৮ জন ব্যক্তি গ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে নারী ৩১১ জন এবং পুরুষ ৯৩৪ জন।
জেলা প্রশাসন আয়োজিত এই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেন, গ্রাম আদালতে সহজেই বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। তাই সাধারণ মানুষকে গ্রাম আদালতে যেতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। বেশি করে গ্রাম আদালতের প্রচার চালাতে হবে। যাতে মানুষ কোর্টে না গিয়ে গ্রাম আদালতে যায়।
তিনি বলেন, এতে করে খরছ ও সময় বাঁচবে। মানুষের জীবনে প্রশান্তি আসবে।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা সৎ ও নিরপেক্ষ থেকে কাজ করুন। জেলা প্রশাসন আপনাদের পাশে আছে। আমি চাই সিলেট জেলার সকল কাজগুলো দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সেবায় সিলেটকে সুপার ফাইভে নিয়ে আসতে তিনি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের প্রতি আহ্বান জানান। একইভাবে নিজ এলাকার অপরাধ প্রবণতা দূর করতে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সিলেটের উপপরিচালক সুবর্ণা সরকারের সভাপতিত্বে সভার শুরুতে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও প্রকল্পের আওতায় প্রচার-প্রচারণা (আউটরিচ) কার্যক্রমের পরিকল্পনা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং স্থানীয় পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থামূহের ভূমিকা বিষয়ে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্প ইপসা সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার শওকত হাসান।
বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পে সহায়তাকারী ইউএনডিপির প্রকল্প মূল্যায়নকারী শাহাদাত হোসেন সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
সভায় বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী অফিসাররা, জেলার ১০৬ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
এনইউ/এএটি