সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল কাস্টমসের মালামাল নিলামে বাগিয়ে নিতে জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হামলা শুল্ক স্টেশনে চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে তামাবিল শুল্ক স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, তামাবিল শুল্ক স্টেশনে জব্দকৃত ভারতীয় মোটরসাইকেলসহ মালামাল বিক্রির নিলাম কার্যক্রম ছিল। সে সময় পার্শ্ববর্তী জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক বদরুল আলম শাওন, সদস্য সচিব এম. শাহীন আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক সুলেমান আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ ইলিয়াস উপস্থিত হয়ে নিলামের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা তাদের আটক করে রাখে।
তাদের ফোন পেয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ সুলেমান আহমদের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দেন উপজেলা ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। উপজেলা ছাত্রদলের জামিল আহমদ (৩১), শাহীন আলম, ফারুক আহমদ, মাহফুজ আহমদ, শাহজাহানসহ অজ্ঞাত আরও অনেকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে উভয় পক্ষের অনেকে আহত হন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমদ বলেন, ঘটনার সময় তিনি সিলেট শহরে কনফারেন্সে ছিলেন। বিকেলে এসে ঘটনাটি জানতে পারেন। নিলামে দুইটি গ্রুপ ছিল। এর একটি গ্রুপের পক্ষে নিলাম পাইয়ে দেওয়ার পক্ষে ছিলেন জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রদল এবং অন্য গ্রুপে ছিলেন শ্রমিক সংগঠনের নেতা। ছাত্রদল কর্তৃক নিলাম নিয়ন্ত্রণের কথা জানেন না। তবে শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি একটি গ্রুপের পক্ষে ছিলেন। এ নিয়ে সংঘর্ষ হয় এবং শ্রমিক সংগঠনের সভাপতিসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
এই ঘটনায় তামাবিল স্থলবন্দর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের (রেজি নং- চট্ট-২২১৪) সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফায়েল আহমদ।
এনইউ/এমইউএম