শরীয়তপুরের জাজিরায় মসজিদের মাইকে আজান দেওয়া নিয়ে বিরোধের জেরে খবির সরদার (৪৫) নামে এক বিএনপি নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত খবির সরদার বড়কান্দি ইউনিয়নের ওমরদি মাদবর কান্দি এলাকার মৃত ইউনূস সরদারের ছেলে ও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ওই এলাকার একটি মসজিদে ভোররাতে মাইকে আজান ও বয়ান দেওয়ায় ঘুমের ব্যাঘাত হচ্ছে-এমন অভিযোগ তুলে ইমামকে হুমকি দেন আলমাস সরদার নামে এক ব্যক্তি। বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটি প্রতিবাদ জানায় এবং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। এরপর থেকেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আলমাস সরদার।
মঙ্গলবার রাতে বাড়ির সামনে খবির সরদারকে ছুরিকাঘাত করেন আলমাস। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বুধবার সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি দানেশ সরদার বলেন, আজান ও বয়ান বন্ধ করতে ইমামকে হুমকি দিয়েছিলেন আলমাস সরদার। আমরা প্রতিবাদ করলে তিনি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। সুযোগ বুঝে খবির সরদারকে হত্যা করেন।
জাজিরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বজলুর রশিদ শিকদার অভিযোগ করে বলেন, আজান দেওয়াকে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত হয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসী আলমাস গংরা খবির সরদারকে হত্যা করেছে।
জাজিরা থানার ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, খবির সরদারকে ছুরিকাঘাতে হত্যার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তিনি বলেন, ঘটনাটি মসজিদ কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ঘটতে পারে। অভিযুক্তকে ধরতে অভিযান চলছে।
আরএ