খুলনা: দেশের ৬৩টি জেলায় ফার্মেসী কাউন্সিলের কোর্স চালু থাকলেও শুধুমাত্র খুলনায় প্রায় দেড় বছর ধরে কোর্সটি চালু নেই। এমতাবস্থায় প্রকৃত ওষুধ ব্যবসায়ীদেরও অনেক প্রতিকূল অবস্থায় যেমন পড়তে হচ্ছে তেমনি নতুন নতুন ফার্মেসী লাইসেন্সও কেউ করতে পারছেন না।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতি (বিসিডিএস) খুলনা জেলা শাখার আহ্বায়ক খান মাহতাব আহমেদ।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সর্বক্ষেত্রে এমআরপি বাস্তবায়নের দাবিতে নগরী ও জেলাব্যাপী প্রচারণা চালানো, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ কোম্পানীকে ফেরত নেওয়ার দাবিতে কোম্পানীর প্রতিনিধি তথা ম্যানেজার ফোরাম, এক্সিকিউটিভ ক্লাব, ফারিয়া নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়, মোবাইল কোর্টের নামে অহেতুক হয়রানী যাতে না করা হয় সেজন্য ঔষধ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের সাথে পৃথক মতবিনিময়, অতি দ্রুত যাতে খুলনায় ফার্মেসী কাউন্সিলের কোর্স চালু করা যায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা, বিসিডিএস’র ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা এবং কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে তৎকালীন কমিটির সদস্যরা সমিতির কার্যালয়টি স্থবির করে রেখে চলে যাওয়ায় ওষুধ ব্যবসায়ীদের ঠিকানাও অস্তিত্ব সংকটে পড়ে। এজন্য খুলনার ওষুধ ব্যবসায়ী তথা কেমিস্টদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিসিডিএস’র কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে গত ৯ আগষ্ট সমিতির আর্টিক্যালস অফ এ্যাসোসিয়েশন অনুযায়ী ১৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন একটি আহ্বায়ক কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ সমিতির বৃহত্তর স্বার্থে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ঔষধ বিক্রয় (এমআরপি) বাস্তবায়ন, খুলনা জেলা শাখার সাধারণ কেমিস্টদের স্বার্থ রংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার লক্ষ্যে অনুমোদন দেয়া হয়। সে লক্ষ্য নিয়েই যখন কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পালন শুরু করেছে ঠিক সেই মুহূর্তেই গত ১৬ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করা হয়।
বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতি খুলনা জেলা শাখা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে উল্লেখ করেছেন সমিতির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ।
মূলত: হেরাজ মার্কেটের ব্যবসায়ী এসএম আজিজুর রহমান নিজে নির্বাচনবিহীন সভাপতি না হতে পেরেই শাক দিয়ে মাছ ঢাকতেই গত ১৬ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনে কথিত অভিযোগ আনেন। এমনকি তিনি ওই সংবাদ সম্মেলনের মধ্যদিয়ে শৃংখলা পরিপন্থী কর্মকান্ড করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কমিটির বিরুদ্ধেও বিষোদ্গার করেছেন।
উল্লেখ্য গত ১৬ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনে খুলনা জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির (বিসিডিএস) কমিটি নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন এক গ্রুপের নেতা এসএম আজিজুর রহমান। তিনি বলেছিলেন, খুলনার আলোচিত শেখবাড়ির আশীর্বাদপুষ্টদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। অবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করে নির্বাচন কমিটি গঠনের দাবি তাদের।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নবগঠিত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মো. নুরুল হক বাহার, মো. আব্দুল লতিফ শেখ, আনিসুর রহমান লিটু, মো. ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার, হেদায়েতুল ইসলাম পলাশ, মো. হাফিজুর রহমান, মো. হাফিজুর রহমান, মো. নুরুজ্জামান, আব্দুল মালেক মোড়ল, আবিদ উজ্জামান, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. তৌফিক হোসেন প্রমুখ।
এমআরএম