নাটোর: নাটোরের লালপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী মো. সিরাজুল ইসলামক ওরফে আন্টুকে (৪০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরের দিকে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো.সোহাগ তালুকদার এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সিরাজুল ইসলাম জেলার লালপুর উপজেলার পুরাতন ঈশ্বরদী পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে। ঘটনার সময় তার বয়স ছিল ৩৫ বছর।
নাটোর জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট রুহুল আমীন তালুকদার টগর এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, নাটোরের লালপুর উপজেলার পুরাতন ঈশ্বরদী পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলের সঙ্গে প্রায় ১২ বছর আগে একই উপজেলার রামনারায়ণপুর গ্রামের মো. হেলাল উদ্দিনের মেয়ে মোছা. লতা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্ত্রী লতা খাতুনকে নির্যাতন করতো স্বামী। এরই একপর্যায়ে ২০২০ সালের ২৭ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে লতা খাতুনের মৃত্যুর খবর পায় বাবা হেলাল উদ্দিন।
পরে তিনি ঘটনাটি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় নিহত লতা খাতুনের বাবা হেলাল উদ্দিন লালপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন। পরে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে লতা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার তথ্য পাওয়া গেলে পুলিশ তার স্বামী সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে সিরাজুল ইসলাম তার স্ত্রী লতা খাতুনকে হত্যার দায় স্বীকার করেন।
পরে পুলিশ নিহতের স্বামী সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিবেদনসহ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ ৫ বছর ওই মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ ও গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক সিরাজুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
জেএইচ