ভারতের মেঘালয় রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম খাসী হিলসে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক মো. আকরাম হোসেনের (৩০) মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
রোববার (১৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে বিজিবির সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মধ্যমে আকরামের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
নিহত আকরাম শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাঁকাকুড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিন পাগলার ছেলে।
নিহতের বড় ভাই শেখ ফরিদ মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা আকরামের লাশ গ্রহণ করেছি। লাশ নিয়ে বর্তমানে নেত্রকোনা জেলা হাসপাতালে রয়েছি। ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পর থানায় যেতে হবে। সেখান থেকে পরে বাড়ির পথে লাশ নিয়ে রওনা হবো।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আকরাম ঝিনাইগাতীর বাঁকাকুড়া এলাকার বাসিন্দা হলেও দীর্ঘদিন ধরেই তিনি এলাকায় থাকতেন না। তার বিরুদ্ধে শেরপুর, ঝিনাইগাতী ও জামলপুর থানায় একাধিক মামলা ছিল। তিনি পলাতক অবস্থায় বরিশালে বসবাস করতেন এবং সেখানেই বিয়ে করে সংসার শুরু করেন।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল-আমিন বলেন, ‘ভারতের মেঘালয়ে নিহত আকরামের বিরুদ্ধে থানায় একটি অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল।
প্রসঙ্গত, গত ৬ আগস্ট আকরামসহ আট বাংলাদেশি নাগরিক সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে প্রবেশ করেন। পরে গত ১০ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মেঘালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলস জেলায় কৈথাকোণা গ্রামে স্থানীয়রা আকরামকে ধরে বেধড়ক গণপিটুনি দেন। এতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
আরএ