মানিকগঞ্জ: খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, সার, বীজ, কীটনাশক, সেচ ও বিদ্যুৎসহ সব মিলিয়ে প্রতিকেজি চাল উৎপাদনে সরকার ২০ থেকে ২৫ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে মানিকগঞ্জ সার্কিট হাউসে আয়োজিত ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’ বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা চাই ভুক্তরা, বিশেষ করে দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত মানুষ, যেন আরও কম দামে চাল পায়—এজন্যই এই আয়োজন। গত বছর পাঁচ মাসে ৫০ লাখ পরিবার এই সুবিধা পেয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার এবার তা বাড়িয়ে ছয় মাসে ৫৫ লাখ পরিবারে দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে এটিকে আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে।
তিনি আরও বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে সর্বোচ্চ দাম দিয়ে ধান ক্রয় করা হয়েছে। প্রতিকেজি ধানের দাম দেওয়া হয়েছে ৩৬ টাকা এবং চালের দাম ৪৯ টাকা। আমরা কেনার পাশাপাশি মিল মালিকরাও বেশি দামে ধান কিনেছে, যার ফলে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পেয়েছেন। পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় বর্তমানে আমাদের দেশে খুচরা বাজারে চালের দাম তুলনামূলকভাবে কম- বলেন খাদ্য উপদেষ্টা।
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, আগামী ১৭ আগস্ট থেকে সারাদেশে ৫৫ লাখ পরিবার ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবে। বর্তমানে রেকর্ডসংখ্যক খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে—আজকের হিসাবে ২১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি আগস্ট থেকে নভেম্বর এবং ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ—দুই মেয়াদে মোট ছয় মাস পূর্ণোদ্যমে চলবে।
তিনি আরও বলেন, আমন মৌসুম সম্পূর্ণভাবে প্রাকৃতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়, তবে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে না। তবে বিপর্যয়ের সম্ভাবনা বিবেচনায় রেখে চার লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য আমদানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা, পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াছমিন খাতুন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোশারফ হোসেনসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
আরবি