ঢাকার বিমানবন্দর থেকে নিজ জেলা লক্ষ্মীপুরে ফেরার পথে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজারে যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস খালে পড়ে একই পরিবারের তিন মেয়ে শিশুসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওই পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
নিহতদের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের পশ্চিম চৌপল্লী গ্রামের কাসালী বাড়ি। ওই বাড়ির ওমান প্রবাসী বাহারকে ঢাকার বিমানবন্দর থেকে নিয়ে আসার সময় পথে বাড়ি থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- প্রবাসী বাহারের মা মুরশিদা (৫০), স্ত্রী কবিতা (২৩), মেয়ে মীম (২), নানী ফয়জুন নেছা (৭০), ভাইয়ের স্ত্রী লাবনী (২৫), ভাতিজি লামিয়া (৮) ও রেশমী (৯)।
জীবিতরা হলেন- প্রবাসী বাহার, তার বাবা আবদুর রহিম, শ্বশুর ইসকান্দর মির্জা, শ্যালক রিয়াজ ও ভাইয়ের স্ত্রী সুইটি এবং গাড়িচালক রাজু।
এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় পুরো এলাকায় শোক নেমে এসেছে। স্বজনদের হারিয়ে বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন তাদের আত্মীয়রা।
ওমান প্রবাসী বাহারের বাবা আবদুর রহিম বলেন, আমার ছেলে প্রায় আড়াই বছর পর ওমান থেকে দেশে আসেন। তাকে এয়ারপোর্ট থেকে আনতে আমরা পরিবারের সদস্যরা মাইক্রোবাস ভাড়া করে ঢাকায় যাই। মঙ্গলবার রাতেই আমরা রওনা দিই। ভোরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে এলে চালক মাইক্রোবাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। গাড়িটি রহমতখালী খালে পড়ে যায়। এসময় গাড়ির দরজা লক করা ছিল। আমরা ছয়জন জানালা দিয়ে বের হতে পারলেও বাকিরা বের হতে পারেনি। খালে পানির তীব্র স্রোত ছিল। তাই দ্রুত গাড়িটি তলিয়ে যায়। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা তারা পানির তলায় ছিল। এতে ডুবে মারা গেছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে নিহতদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকদের মধ্যে আহাজারি দেখা যায়। এলাকাবাসী এবং আত্মীয় স্বজনরা তাদের সান্ত্বনা দিতে আসেন। কিন্তু একে একে সাতজনের মৃত্যুতে স্বজনরা যেন কোনো সান্ত্বনা খুঁজে পাচ্ছেন না। বার বার বিলাপ করতে দেখা গেছে স্বজনদের।
** নোয়াখালীতে মাইক্রোবাস খালে, নিহত ৭
আরএ