মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ রফিকুল ইসলামের স্মৃতিফলকে তার পদবি যুবদল নেতা না লিখে ‘শ্রমজীবী’ লেখায় প্রতিবাদ জানিয়েছে শিবালয় উপজেলা যুবদল।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ফেরিঘাটের অদূরে শহীদ মো. রফিকুল ইসলামের নামে নির্মিত স্মৃতিফলকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে গিয়ে উপজেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান।
শিবালয় উপজেলা যুবদলের সভাপতি হোসেন আলী বলেন, শহীদ মো. রফিকুল ইসলাম শিবালয় উপজেলার উলাইল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। স্মৃতিফলকে শ্রমজীবী লেখা গ্রহণযোগ্য নয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের অবদান আড়াল করতে সারাদেশের মতো মানিকগঞ্জেও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অবিলম্বে স্মৃতিফলকে তার রাজনৈতিক পদবি লেখার দাবি জানাচ্ছি।
জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, এ স্মৃতিফলক এবং লেখার কাজটি জেলা প্রশাসন করেনি। এটা ঢাকা থেকে করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা তা ঢাকায় পাঠিয়ে দেব। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে সকাল ৯টায় শিবালয় উপজেলার উলাইল ইউনিয়নের রূপসা গ্রামে শহীদ মো. রফিকুল ইসলামের কবর জিয়ারত করেন জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা, পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুন, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক শাহানুর ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সত্যেনকান্ত পণ্ডিত ভজন, শিবালয় উপজেলা যুবদলের সভাপতি হোসেন আলী, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এরপর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া করা হয়। এসময় শহীদ মো. রফিকুল ইসলামের বাবা মো. রহিজ উদ্দিনসহ তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দুপুরে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের অদূরে আরসিএল মোরে নৌপুলিশের গুলিতে শহীদ হন মো. রফিকুল ইসলাম।
এসআই