নড়াইলের লোহাগড়ায় সৈয়দ মাসুম বিল্লাহ (২০) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত মাসুম লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে, নড়াইল-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের মধুমতি সেতু এলাকা থেকে গুরুতর আহতাবস্থায় পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুমের পরিবারের দাবি, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। প্রেমঘটিত বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
পরিবারটির অভিযোগ, লোহাগড়ার সরুশুনা গ্রামে সাথী নামে এক তরুণীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি মেয়েটির অন্যত্র বিয়ের খবর পেয়ে মাসুম কর্মস্থল থেকে বাড়িতে চলে আসেন। শুক্রবার সকালে উপজেলা সদরে মেয়েটির সঙ্গে দেখা হয় মাসুমের। এরপরই মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।
মাসুমের মামা তহিদুল ইসলাম বলেন, মাসুমের ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরিকল্পিতভাবেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
মাসুমের ছোট চাচা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সাথীর চাচা লতিফ সরদার সকালে মোবাইলফোনে কল করে জানান যে মাসুম ঝামেলা করছে। এরপর আমরা জানতে পারি মাসুম ও সাথী মানিকগঞ্জ বাজারের একটি পার্লারে দেখা করেছে। হুমকি পাওয়ার পর মাসুমকে খুঁজতে বের হই, কিন্তু তার ফোনটি বন্ধ ছিল। পরে হাসপাতাল থেকে খবর পাই, মাসুম নাকি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। অথচ মাথা ও শরীরজুড়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল, এমনকি একটি আঙুলের নখও উপড়ে ফেলা হয়েছে। এতে বোঝা যায়, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, হত্যা। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
অভিযুক্ত সাথী খাতুন ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, মাসুম বিল্লাহর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত নিহত মাসুমের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
এসআরএস