ঢাকা, শনিবার, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ০২ আগস্ট ২০২৫, ০৭ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

রায়পুরে মেঘনায় অবাধে বালু উত্তোলন, হুমকিতে তীরবর্তী এলাকা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৩১, আগস্ট ১, ২০২৫
রায়পুরে মেঘনায় অবাধে বালু উত্তোলন, হুমকিতে তীরবর্তী এলাকা রায়পুরের মেঘনায় অবাধে বালু উত্তোলন

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদী থেকে ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী বসতবাড়ি ও ফসলি জমি।

কিছু কিছু স্থানে নদী ভাঙনও দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার চরবংশী ইউনিয়নের মোল্লারহাট সংলগ্ন মেঘনা নদীর প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে অন্তত ২০টি অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসানো রয়েছে। প্রতিনিয়ত সেগুলোর মাধ্যমে বালু উত্তোলন চলছে। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে পরিবর্তন ঘটছে এবং তীরবর্তী ফসলি জমি ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

তাদের অভিযোগ, প্রভাবশালী একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসলেও প্রশাসন কার্যত নীরব। মাঝে মধ্যে দু-একটি অভিযান চালানো হলেও বালু দস্যুদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

জানা গেছে, এই বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত চরবংশী ইউনিয়নের মো. পলাশ, রাসেল খলিফা, মহিউদ্দিন সোহাগ, গফুর মোল্লা, শিমুল হাওলাদার, সুমন বেপারী, মিন্টু মোল্লা ও হুমায়ুন কবিরসহ আরও কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। এদের অনেকেই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য কিংবা বিভিন্ন পদে রয়েছেন। একসময় আওয়ামী লীগের নেতারা ড্রেজার মেশিনগুলো নিয়ন্ত্রণ করলেও বর্তমানে সেগুলো অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের দখলে আছে।

বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত আনোয়ার হাওলাদার বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি নেই। কিন্তু জরুরি প্রয়োজনে বালু তুলতে হচ্ছে।

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান খান বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগেও সেনাবাহিনীর সহায়তায় ওইসব এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। শিগগিরই আবারও সেখানে অভিযান চালানো হবে।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

সারাদেশ এর সর্বশেষ