ভোলা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভোলার উপকূলীয় বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে বাঁধের বাইরের অন্তত ২০টি গ্রাম।
অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে উপকূলের রাস্তাঘাট, বসতঘর, আঙিনা, রান্নাঘর ও মাছের ঘের পানিতে ডুবে গেছে। কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও বা কোমর সমান পানি জমে রয়েছে।
ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ও ইলিশা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে—ঘরের ভেতর ও আশপাশে পানি প্রবেশ করায় চুলা জ্বালানোও সম্ভব হয়নি অনেকের। এতে দুর্যোগকবলিত এলাকায় মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
পানিবন্দি আমেনা ও রোকসানা বেগম বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি আর বাতাস হচ্ছিল। দুপুরে নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ দেখা দেয়। এরপর হঠাৎ করে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। সবাই গৃহবন্দি হয়ে পড়েছি। চরম দুর্ভোগে আছি।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান জানান, মেঘনার পানি তজুমদ্দিন পয়েন্টে ১৪৭ সেন্টিমিটার এবং দৌলতখান পয়েন্টে ৭৪ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়েছে, যা এ মৌসুমে সর্বোচ্চ। ফলে বাঁধের বাইরের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে পানি নামলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোলা সদর, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার বাঁধের বাইরের গ্রামগুলো সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে।
এসআরএস