ঢাকা, সোমবার, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৪ জুলাই ২০২৫, ১৮ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

যশোর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে শাপলা এক্সপ্রেস চলাচল বন্ধ করলেন নেতারা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:২৩, জুলাই ১৪, ২০২৫
যশোর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে শাপলা এক্সপ্রেস চলাচল বন্ধ করলেন নেতারা খুলনা বিভাগের দশ জেলা ২৫টি বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের যৌথ সভা সোমবার যশোরে অনুষ্ঠিত হয়

যশোর: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ মোটর মালিক সমিতি নিয়ম না মেনে যশোর সমিতিভুক্ত বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে যশোর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে আপাতত শাপলা এক্সপ্রেস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।  

সোমবার (১৪ জুলাই) যশোর জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি কার্যালয়ে খুলনা বিভাগের দশ জেলার ২৫টি মালিক-শ্রমিক সংগঠনের যৌথ সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভায় সমিতির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্রে জানা গেছে, কোনো নিয়ম না মেনে গত শনিবার (১২ জুলাই) থেকে যশোর মালিক সমিতিভুক্ত শাপলা এক্সপ্রেসের ৪২টি বাস যশোর-চুয়াডাঙ্গা রুটে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কালীগঞ্জ মোটর মালিক সমিতি। এরমধ্যেই তারা একজন মালিকের একটি বাস আটকে রেখেছে অন্যায়ভাবে।  

যশোর জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান লিটন জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৪ সালে এমপি হওয়ার পর আনোয়ারুল আজিম আনার তিনটি সংগঠন নেতাদের ডেকে অতিরিক্ত ১৫টি বাস অন্তর্ভুক্ত করিয়েছিলেন শাপলা এক্সপ্রেসে। যার কারণে শাপলা এক্সপ্রেসের শিডিউল বিপর্যয়সহ নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হয়।   

তিনিন জানান, এসব বিষয়ে কালীগঞ্জ মোটর মালিক সমিতিকে মীমাংসায় আহ্বান জানানো হলেও তারা কোনো কর্ণপাত করেন নি। সোমবার যশোরের যৌথ সভাতেও আসেন নি তাদের কোনো নেতা। সে কারণে কালীগঞ্জ মোটর মালিক সমিতির রেজিস্ট্রেশন বাতিলসহ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান সভায় উপস্থিত নেতারা।  

এদিকে, প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে যশোর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে আপাতত শাপলা এক্সপ্রেস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সোমবারের সভায়। তবে, যাত্রীসাধারণের কথা বিবেচনা করে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) থেকে যশোর-চুয়াডাঙ্গা ভায়া চৌগাছা, কোটচাঁদপুর রুট দিয়ে সীমিত সংখ্যক বাস চলাচল করবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ আল লতিফ খোকা। সভাপতিত্ব করেন সমিতির যশোর জেলার সভাপতি পবিত্র কাপুড়িয়া।  

সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জানান, তারা ফিরে যেয়ে সকল সমিতি নেতৃবৃন্দকে চিঠি দেবেন। একইসাথে বৃহস্পতিবার ঢাকাতে ডাকবেন জেলার নেতাদের। সেখানে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম।  

আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের খুলনা বিভাগীয় সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, যশোর জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান লিটন, যশোর মিনিবাস ও বাস মালিক সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান বাবলু, যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মুসলিম আলী পাপ্পু, যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোর্তুজা হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ফুলু, কোটচাঁদপুর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন, চুয়াডাঙ্গার সভাপতি বকুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন, চৌগাছার সভাপতি জসীমউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, মহেশপুরে সভাপতি এম এ ওয়াদুদ, সাধারণ সম্পাদক সোমেন কুমার নাথ, খাজুরা মালিক সমিতির সভাপতি তারেক হোসেন এবং কেশবপুর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন।

এসএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।