ঢাকা, বুধবার, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, ০৯ জুলাই ২০২৫, ১৩ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

বগুড়ায় শ্বশুর ও পুত্রবধূকে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে খুন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:২৮, জুলাই ৯, ২০২৫
বগুড়ায় শ্বশুর ও পুত্রবধূকে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে খুন বগুড়ার ম্যাপ।

বগুড়া: বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় হাত-পা বেঁধে গলা কেটে এক অবসরপ্রাপ্ত মাদরাসা শিক্ষক ও তার পুত্রবধূকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) দিনগত রাতে উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়নের লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত মাদরাসা শিক্ষক আফতাব হোসেন (৭০) এবং তার সৌদি প্রবাসী ছেলে শাহজাহানের স্ত্রী মোছা. রিভা বেগম (২৮)।

বুধবার সকালে হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। শত শত মানুষ নিহতদের বাড়িতে ভিড় জমায়।

নিহতদের স্বজনরা জানান, আফতাব হোসেনের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় ছেলে শাহজাহান প্রায় আট বছর ধরে সৌদি আরবে থাকেন। তার স্ত্রী রিভা এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই বসবাস করতেন। ছোট ছেলে ঢাকায় থাকেন।

মঙ্গলবার রাতে আফতাব হোসেন নিজ কক্ষে এবং পুত্রবধূ রিভা তার সাত বছর বয়সী মেয়ে মালিহাকে নিয়ে অন্য ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। বুধবার ভোরে মালিহা ঘুম ভেঙে মায়ের হাত বাঁধা এবং গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করে। পরে আশপাশের লোকজন এসে রিভার মরদেহ এবং বাড়ির বাইরে পড়ে থাকা আফতাব হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে। দু’জনেরই হাত বাঁধা এবং গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে তারা পুলিশকে খবর দেন।

গৃহবধূ রিভার ঘরে প্রবেশ করে দেখা যায়, ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, দুর্বৃত্তরা কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে। তবে হত্যার পেছনে প্রকৃত কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

স্বজনদের ধারণা, আফতাব হোসেনের সঙ্গে স্থানীয় কিছু মানুষের জমি-জমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা পূর্ব শত্রুতা, পারিবারিক বিরোধ কিংবা ডাকাতির সম্ভাবনাগুলো গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।