কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ী গ্রামে দুই সন্তানসহ নারীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তের দায়িত্ব জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা জেলা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নয়ন কুমার চক্রবর্তী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি গুরুত্বসহকারে দেখছি। যার কারণে মামলার তদন্তভার জেলা ডিবি পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যারা জড়িত এবং প্রকৃত অপরাধী, তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এর আগে এ মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন বাঙ্গরা থানার এসআই আবু তাহের।
মঙ্গলবার রাতে মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা ডিবি পুলিশের এসআই নয়ন কুমার চক্রবর্তী বলেন, আজকেই আমাকে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তভার পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। হত্যাকাণ্ডের স্থান ছাড়াও পুরো এলাকাটি ঘুরে দেখেছি। এখনও বেশির ভাগ বাড়ি জনশূন্য।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে উপজেলার কড়ইবাড়ী গ্রামে মা, মেয়ে-ছেলেসহ একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- কড়ইবাড়ী গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা বেগম ওরফে রুবি (৫৩), ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) ও মেয়ে তাসপিয়া আক্তার ওরফে জোনাকি (২৯)।
এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন রোকসানার আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (২৭)। হত্যার ঘটনায় ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন নিহত রোকসানার বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে স্থানীয় আকুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহকে। এরই মধ্যে এ মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসআরএস