কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাহেরচর গ্রামে ঘটনার ১২দিন পর সেই ভুক্তভোগী নারীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে তার পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।
এদিকে ওই নারীর বিবস্ত্র ভিডিও ছড়ানোর প্রধান হোতা শাহপরানের রিমান্ডের শুনানি হবে বুধবার কুমিল্লার আদালতে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার এসআই রুহুল আমিন।
তিনি জানান, গত ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের বাহেরচর গ্রামে এক নারীকে ধর্ষণের পর নির্যাতন, নিপীড়ন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী গ্রেপ্তার হলেও তিনি এখনও পুলিশ হেফাজত থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নিপীড়ন ও বিবস্ত্রের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার প্রধান হোতা ফজর আলীর ছোট ভাই শাহপরানকে পর্নোগ্রাফি মামলায় জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার শাহপরানের রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে। পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে।
এদিকে শাহপরান ছাড়াও এ মামলার চার আসামিকে তিনদিন রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে ৫ জুলাই বিকেলে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। তারা হলেন- একই গ্রামের সুমন, রমজান, আরিফ ও অনিক। রমজান ও সুমন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবেন বলে জানালেও তারা মঙ্গলবার আদালতে গিয়ে অস্বীকৃতি জানান। তাদের বিষয়ে পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এত দেরিতে ওই নারীর মেডিকেল পরীক্ষার বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, তিনি মেডিকেল পরীক্ষা করতে অস্বীকৃতির জানানোর কারণে দেরি হয়েছে।
আরএ