ঢাকা, বুধবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, ০৯ জুলাই ২০২৫, ১৩ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

খুলনায় ভারি বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল রেজিস্ট্রি ভবনের ছাদ, ভিজল নথিপত্র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:২৩, জুলাই ৮, ২০২৫
খুলনায় ভারি বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল রেজিস্ট্রি ভবনের ছাদ, ভিজল নথিপত্র

খুলনা: লাগাতার বৃষ্টির জের এবং দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে খুলনা সদর সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের একতলা ভবনের রুমের ছাদ ভেঙে পরেছে। বহু পুরাতন রেজিষ্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুমের ছাদ ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থ হলো বেশকিছু বালাম বই।

বইগুলো সম্ভবত: ১৯০০ সালের আগের বলে মনে করছেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

সোমবার(৭ জুলাই) দিবাগত রাতের যে কোন সময় ছাদ ধ্বসে পড়লেও মঙ্গলবার(৮জুলাই) সকালে অফিসে গিয়ে এটি দেখতে পান সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে জেলা রেজিষ্ট্রার, জেলা প্রশাসক, গণপূর্ত বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলপরিদর্শন করেন।

রেকর্ড কীপার মাহবুবুর রহমান বলেন, রেকর্ড রুমের ভবনটি অনেক পুরাতন। এটি সংস্কারের জন্য একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েও হয়নি। ভবন সংস্কার ও নতুন ভবন করার জন্য ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার পত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে কার্যকর তেমন কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

গণপূর্ত বিভাগ খুলনা-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান বলেন, জেলা রেজিষ্ট্রারের কার্যালয়টি নতুন করার জন্য আগে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। টেন্ডার পর্যন্ত হয় এমনটিও শুনেছি। কিন্তু আগের সরকার ভবন নির্মাণ করতে পারেনি। এখন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ যেভাবে নির্দেশনা দেবেন সেভাবেই কাজ করা হবে। ’

খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, সকালে খবর পেয়ে ছাদ ধ্বসে পড়া ভবনটি পরিদর্শন করেছি। অনেক পুরাতন ভবন। মূলত: ছাদ ধ্বসে পড়েনি, ছাদের ওপর একটি গম্বুজের মতো ছিল সেটি ধ্বসে পড়ে। যার ব্যাসার্ধ দুই মিটারের মতো। তবে যে পরিমানে ধ্বসে গেছে সে পরিমানে বালাম বইয়ের ক্ষতি হয়নি। ধীরে ধীরে সেগুলো সরিয়ে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আর ধ্বসে পড়া স্থানটি পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নতুন ভবন নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত অন্য কোন ভবনে বালাম বইগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য ভবন খোঁজা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে চুন আর সুরকি দিয়ে বিট্রিশ আমলের তৈরি ভবনটিতে জেলা ও সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস হিসেবে আলাদা আলাদা হিসেবে কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ভবনটি বহু আগেই পরিত্যাক্ত ঘোষণা করেছিল গণপূর্ত বিভাগ। জরাজীর্ণ ভবনটির ছাদ এর আগেই কয়েকবার ধ্বসে পড়েছিল। বিভিন্ন সময় ছাদের অংশ ভেঙ্গে পড়ায় কয়েকজন আহতও হয়েছেন। মাঝে মধ্যে সংস্কার করে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হলেও প্রতিনিয়ত আতংকে থাকেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

উল্লেখ্য, খুলনা সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুম যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে এমন খবর এর আগে একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কাজকর্ম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল। পুরাতন ভবনটি ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণের জন্যও আবেদন জানানো হয়েছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে।

 

এমআরএম

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।