ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

মঙ্গলবার থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:৫০, জুলাই ৬, ২০২৫
মঙ্গলবার থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট

সিলেট: সিলেটের সব পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া, পরিবহন শ্রমিকদের হয়রানি বন্ধ করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন পরিবহন নেতারা।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) থেকে সিলেটে জুড়ে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের আহ্বান করা হয়।

 

সিলেট জেলা পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমিতির সভাপতি ময়নুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, পাথর সংশ্লিষ্ট মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে আমাদের দুটি দাবি সংযুক্ত করে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছি। তবে ধর্মঘটে কোনো পিকেটিং হবে না, কোনো গাড়ি ভাঙচুর করা হবে না। শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি হবে। এছাড়া এইচএসসি পরিক্ষার্থী, বিদেশি যাত্রী, রোগী পরিবহনে ব্যবহৃত গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সেবা পরিবহন এ আওতার বাইরে থাকবে।

 শনিবার (৫ জুলাই) পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।  

এর আগে শনিবার সিলেট জেলা মালিক সমিতির কার্যালয়ে বাস, ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক সংগঠনগুলোর বৈঠক হয়েছিল।

সভায় সব সংগঠন এ সিদ্ধান্তে একমত পোষণ করেছে বলে জানিয়েছেন পরিবহন নেতারা।  

তিনি আরও বলেন, পাথর কোয়ারির কেবল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পৃক্তা নয়, শত সহস্র ট্রাক শ্রমিক পাথর কোয়ারির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এতে মালিক-শ্রমিকদের আর্থিক বিষয় জড়িত। ট্রাক শ্রমিকরা কোয়ারি থেকে পাথর পরিবহন করে জীবিকা নির্বাহ করছে। এটা থেকে কেন শ্রমিকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। অবিলম্বে সব পাথর কোয়ারিও খুলে দিতে হবে।

এর আগে সিলেটের জেলা প্রশাসকের অপসারণ এবং সব পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে শনিবার সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার পণ্য পরিবহন ধর্মঘট শুরু করেন শ্রমিকরা।

সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এ কর্মবিরতি শুরু করে। রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো এ কর্মবিরতি অব্যাহত ছিল। পরে তা বাড়িয়ে ৭২ ঘণ্টা কর্মবিরতি আহ্বান করা হয়।

পরিবহন শ্রমিকদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, সিলেটের সব পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া, স্টোন ক্রাশার মেশিন ধ্বংস অভিযান বন্ধ, পাথরবাহী ট্রাক জব্দ না করা, চালকদের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ এবং বিআরটিএ কার্যালয়ে শ্রমিকদের প্রতি হয়রানিমূলক আচরণ বন্ধ করা ও সিলেটের জেলা প্রশাসকের অপসারণ।

এনইউ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।