ঢাকা, শুক্রবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩২, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৮ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় ভাসুরকে খুন করে লাশ গুমের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:৩৩, জুলাই ৪, ২০২৫
পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় ভাসুরকে খুন করে লাশ গুমের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

কুমিল্লার মুরাদনগরে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় প্রেমিককে দিয়ে ভাসুরকে খুন করে লাশ গুম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটনার দুইদিন পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।

 

হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) মুরাদনগর উপজেলার ইউসুফনগর গ্রামের অভিযুক্ত প্রেমিক ইব্রাহিমের বসতঘরের মাটির নিচ থেকে নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মনির হোসেন (৪০) উপজেলা সদর ইউনিয়নের ইউসুফনগর গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন। অভিযুক্ত শাহিদা আক্তার (২২) নিহত মনিরের ছোট ভাই তাজুল ইসলামের স্ত্রী। প্রেমিক ইব্রাহিম (২০) একই গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে।  

স্থানীয়রা জানান, নিহত মনিরের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শাহিদা আক্তারের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়ায় ইব্রাহিম। বিষয়টি জানতে পেরে ১৫ দিন আগে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শাহিদাকে শাসন করে ভাসুর মনির। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহিদা ও তার প্রেমিক ইব্রাহিম সিদ্ধান্ত নেয় ভাসুর মনিরকে মেরে ফেলার। তাদের সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে এশার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার সময় মনিরকে খুন করে প্রেমিক ইব্রাহিম। এর পর লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ইব্রাহিমের বসত ঘরের নিয়ে মাটিচাপা দেওয়া হয়। এ ঘটনা দেখে ফেলে ইব্রাহিমের মা আমেনা বেগম। এ বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে ইব্রাহিম তার মা আমেনা বেগমকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। প্রাণনাশের ভয়ে ঘটনার দুইদিন মুখ বন্ধ রাখলেও বৃহস্পতিবার স্থানীয়দের চাপে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন ইব্রাহিমের মা আমেনা বেগম। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ইব্রাহিমের বসতঘরের মাটির নিচে পুঁতে রাখা মনিরের লাশ উদ্ধার করেন এলাকাবাসী।  
মুরাদনগর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।  

এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহিদা, প্রেমিক ইব্রাহিম ও ইব্রাহিমের মা আমেনা বেগমকে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা শাহিদা ও ইব্রাহিমের বাড়িঘর ভাঙচুর করে।  

অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  

এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।