ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কুকুরে কামড়ে দিন দিন আহত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রাস্তায় দল বেঁধে কুকুর চলাচল করায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ জুন ৬ জন, ২৮ জুন ২ জন, ২৯ জুন ৯ জন, ৩০ জুন ৮ জন কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
গত রোববার এবং সোমবার কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে যারা ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন তারা হলেন ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্ব সদরদী গ্রামের রেজাউল মিয়ার ছেলে রিফাত (১৪), নুরুল্লাহগঞ্জ ইউনিয়নের দুলাল খানের ছেলে ইমরান খান ( ৩০), ভাঙ্গা পৌরসভার ছিলাধরচর গ্রামের মাসুদ মোল্লার ছেলে সোহান মোল্লা (২০) , কাপুড়িয়া সদরদী গ্রামের মিঠু ফকিরের স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (৩৩), ওয়াহিদুল মিয়ার ছেলে ওমর ফারুক(৫), আলগি ইউনিয়নের পীরেরচর গ্রামের রবিউল মিয়ার মেয়ে রাদিয়া (২), ভাঙ্গা পৌরসভার জাহিদুল ইসলামের ছেলে সাফওয়ান (৭),মানিকদহ ইউনিয়নের ব্রাহ্মণকান্দা গ্রামের কিবরিয়া মুন্সির ছেলে সোহান মুন্সী (১২), আয়নাল মিয়ার ছেলে ওমর আলী (২০), ঘারুয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গারপাড় গ্রামের আতিয়ার মুন্সির ছেলে মুহিতুর মুনসি (৪০), আদিত মুন্সির ছেলে আলিম মুন্সী (৪৫), ঘারুয়া ইউনিয়নের রশিবপুরা গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে সিরাজ শেখ( ৫৫), জব্বার মুন্সির ছেলে কালু মুন্সি (২৫), ভাঙ্গা বাজারের বিনয় সাহা (৪৮), কাপুড়িয়া সদরদী গ্রামের রন্জিলা আক্তার (১৫), মতিয়ার মুন্সি (৫৫), ভাঙ্গা বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী কালু (৬৫) প্রমুখ।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা তানসিভ জুবায়ের নাদিম বলেন, ভাঙ্গা উপজেলায় হঠাৎ করে কুকুরে আহত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। আহত ব্যক্তিদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তবে সরকারিভাবে ভ্যাকসিনের বরাদ্দ না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। রোগীরা ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন এনে চিকিৎসা করাচ্ছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।
জেএইচ