ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার বদ্ধপরিকর।
শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে খুলনা জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, গত ২৬ জুন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বৈঠকের বিষয়ে বিএনপি জানতে চেয়েছে। বৈঠকটি শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। তাই সেটি সামনে আনার মতো কোনো কারণ নেই।
প্রেস সচিব বলেন, খুলনার উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারের বিশেষ দৃষ্টি আছে। এই শহরের উন্নয়নের সঙ্গে মোংলা বন্দরের ব্যবহার বাড়ানোর সম্পর্ক আছে। মোংলা বন্দরের উন্নয়নের জন্য সরকার বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। মোংলা বন্দরের পাশে অর্থনৈতিক জোনে শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন। এজন্য বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) কাজ করছে।
বেসরকারি খাতে খুলনায় নতুন নতুন পাট শিল্প কারখানা স্থাপনে উদ্যোগী হলে সরকার তাদেরকে সহায়তা দেবে বলে জানান প্রেস সচিব। তিনি বলেন, সরকারি অনুদানে আর ইন্ডাস্ট্রি চালানো সম্ভব না। এখানে বেসরকারি উদ্যোগ নিতে হবে। অর সেজন্য বিডা, কমার্স মিনিস্ট্রি, এডুকেশন মিনিস্ট্রি, ফরেস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট কাজ করছে। শিক্ষা শহর হিসেবেও বেড়ে ওঠার সুযোগ আছে খুলনার। অনেকগুলো সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এখানে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় খুলনা শহরে অনেক ক্লাইমেট রিফিউজি আসছেন জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, তাদের জন্য সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। তারা যাতে নিরাপদ আবাসন পায় সে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শ্যামনগর গাবুয়ায় এলজিইডির উদ্যোগে নিরাপদ পানি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। এখন সেটা সমস্ত উপকূল এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সরকারের নানা উদ্যোগ এখন দৃশ্যমান না হলেও এক সময় তা দেখা যাবে এবং আগামী এক দশকে খুলনা ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
খুলনার বন্ধ হওয়া জুট মিলগুলোয় যেসব স্কুল আছে, সবগুলোকে সরকারিকরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এমআরএম/এমজে