ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২, ২৬ জুন ২০২৫, ০০ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

এসআই সুকান্তকে ছেড়ে দেওয়ায় কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:২৫, জুন ২৫, ২০২৫
এসআই সুকান্তকে ছেড়ে দেওয়ায় কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবি

খুলনা: খুলনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুকান্ত দাসকে পুলিশি হেফাজত থেকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। একই সঙ্গে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন তারা।

এতে রূপসা থেকে শহরে প্রবেশ পথ বন্ধ হয়ে যায়।

বুধবার (২৫ জুন) দুপুর একটায় এ কর্মসূচি শুরু হয়। যা বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগের এক দফা দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নগর সদস্য সচিব জহুরুল তানভীর বাংলানিউজকে বলেন, দেশের তৃতীয় বৃহৎ নগরী খুলনার পুলিশ কমিশনার ব্যর্থ। তিনি খুলনায় আসার পর থেকে এখানের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তিনি এসআই সুকান্তের মতো লোককে ছেড়ে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের দোসরদের তিনি গ্রেপ্তার করছেন না। আমরা এমন লোককে খুলনায় দেখতে চাই না। আমরা কেএমপি কমিশনার হিসেবে একজন দেশপ্রেমিক যোগ্য লোককে চাই। আমাদের এ আন্দোলনে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অনেকে যোগ দিয়েছেন। শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আমাদের এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) এডিসি মিডিয়া খন্দকার হোসেন আহম্মেদ বুধবার বিকেল ৫টায় বাংলানিউজকে বলেন, সুকান্ত তার কর্মসংস্থান চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় চলে গেছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো ওয়ারেন্ট না থাকায় তাকে আটক করা যায়নি না। পুলিশ আইনে রয়েছে পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হলে অভিযোগ তদন্ত করে প্রমাণ হলে তারপর আটক করতে হয়। একটা মামলা করলেই তাকে আটক করা যাবে না। যার কারণে সুকান্তকে আটক করা যায়নি।

খান জাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবীর হোসেন বলেন, মঙ্গলবার এসআই সুকান্ত আদালতে সাক্ষী দিয়ে বাইকযোগে কর্মস্থলে ফিরছিলেন। এসময় শিরোমণি এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয়রা তাকে মারধর করে। এ সময় পুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তিনি চলে যান। তার বিরুদ্ধে খান জাহান আলী থানায় কোনো অভিযোগ নেই।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে মহানগরীর ইস্টার্নগেট এলাকায় থেকে সুকান্তকে স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তিনি বর্তমানে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানায় কর্মরত আছেন। আদালতে একটি মামলার সাক্ষী দিতে খুলনায় এসেছিলেন তিনি। তার নামে খুলনা সদর থানায় ছাত্র জনতার ওপর হামলার ঘটনায় গত ১২ ডিসেম্বর মামলা করা হয়। মামলাটি বর্তমানে ডিবিতে তদন্তাধীন। এছাড়া বিএনপির নগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ দুটি মামলা চলমান রয়েছে।

এমআরএম/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।