মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক ফারজানা রূপার মা হোসনে আরা বেগম (৮০) বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। মাকে শেষ বিদায় জানাতে বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয় ফারজানা রূপাকে।
প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বুধবার রাত ৯টার দিকে ফারজানা রূপা তার স্বামীসহ ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ধারিয়াকান্দা গ্রামে পৌঁছালে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) জান্নাত–উল ফরহাদ বলেন, গাজীপুরের কাশিমপুরে হাই সিকিউরিটি কারাগারে শাকিল আহমেদ এবং ফারজানা রূপা কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। সেখান থেকেই তাদের পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়। বিকেল ৩টার দিকে বের হওয়ার কথা থাকলেও তারা দেরিতে কারাগার থেকে বের হন। এরপর তাদের বিশেষ সতর্কতায় ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাড়িতে পৌঁছানোর পর ফারজানা রূপা ও শাকিল আহমেদকে দেখে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। রূপার ভাগনে নবনীল সরকার জানান, ‘তারা রাত ৯টার দিকে বাড়িতে আসেন। এ সময় স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। ’ মায়ের মৃত্যুতে ফারজানা রুপা গভীরভাবে শোকাহত।
বুধবার বাদ আছর হোসনে আরা বেগমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানা যায়, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের হত্যা মামলায় এই দম্পতিকে গত ২১ আগস্ট ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাকিল আহমেদ একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক প্রধান বার্তা সম্পাদক এবং তার স্ত্রী ফারজানা রূপা টেলিভিশনটির সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ও উপস্থাপক ছিলেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন জানান, সাংবাদিক ফারজানা রুপা ও শাকিল দম্পতি রাত ৯টায় পুলিশ প্রহরায় বাড়িতে পৌঁছান। পরে তার মাকে শেষ বিদায় জানিয়ে সাড়ে ৯টায় আবার ঢাকায় কারাগারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
এসএএইচ