চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন ও কোরবানির চামড়া পাচার রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এজন্য চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরের সীমান্ত এলাকাজুড়ে বাড়ানো হয়েছে টহল ও নজরদারি।
শুক্রবার (৬ জুন) সকালে চুয়াডাঙ্গা ছয় বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদরদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য নিশ্চিত করেন ছয় ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক পরিচালক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান।
তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সীমান্ত এলাকায় গরু চোরাচালান এবং কোরবানির পশুর চামড়া পাচারের মতো অপতৎপরতা রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। দেশব্যাপী কোরবানির পশুর চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে দেখা গেছে, বর্তমানে অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক পশু মজুত রয়েছে, যা স্থানীয় খামারিরা উৎপাদন করছেন। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা এবং মেহেরপুর জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ কোরবারির পশুর জোগান রয়েছে।
দেশীয় খামারিরা যাতে ন্যায্যমূল্য পান এবং ক্ষতির মুখে না পড়েন, সেজন্য পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে কোনোভাবেই গরু অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে সীমান্তে টহল, নজরদারি এবং গোয়েন্দা কার্যক্রম বহুগুণে জোরদার করা হয়েছে। এর সুফল আমরা পেয়েছি।
ছয় বিজিবির অধিনায়ক আরও বলেন, ঈদের পর পশুর চামড়া পাচারের আশঙ্কা মাথায় রেখে সীমান্তে নজরদারি ও চেকপোস্ট ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। বিজিবি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিচালনা করছে, যাতে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং জাতীয় অর্থনীতির ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।
লে. কর্নেল নাজমুল হাসান বলেন, সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন প্রতিরোধে বিজিবি কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। কোনো ব্যক্তি যাতে বেআইনিভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে দেশে ঢুকতে না পারে, সে বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছি। পাশাপাশি যেসব ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে পুশ ইনের চেষ্টা হয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিতভাবে বিএসএফের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ সময় ছয় বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক আসিফ আহমদ ও কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার এনামুল হোসেন।
এএটি