ঢাকা, শনিবার, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৪ মে ২০২৫, ২৬ জিলকদ ১৪৪৬

সারাদেশ

রৌমারীতে সমন্বয়কদের দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৪

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:২৫, মে ২৩, ২০২৫
রৌমারীতে সমন্বয়কদের দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৪ সাজেদুল ইসলাম সবুজ, মেহেদী হাসান রনি ও রাফি ইসলাম (বাঁ থেকে)

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে দুপক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের চারজন আহত হয়েছেন।  

বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে উপজেলার শহীদ মিনার চত্বরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

 

আহতরা হলেন— সাজেদুল ইসলাম সবুজ, রঞ্জু মিয়া, মেহেদী হাসান রনি ও রাফি ইসলাম।  

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে সমন্বয়ক সাজেদুল ইসলাম সবুজের বিরুদ্ধে। তিনি ইতোমধ্যে বেশ কিছু প্রকল্পের বিলও উত্তোলন করেছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার সবুজের আহ্বানে শহীদ মিনার চত্বরে উপজেলা পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি আলোচনা সভা ডাকা হয়। সেখানে উপস্থিত কিছু সমন্বয়ক প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অর্থ বরাদ্দ বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিশেষ করে সংগঠনের ব্যানার ব্যবহার করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তোলেন অপর পক্ষের সমন্বয়ক মেহেদী হাসান রনি। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে চারজন আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।  


সংঘর্ষের খবরে এলাকায় মুহূর্তেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি শান্ত করে।

সাজেদুল ইসলাম সবুজ বলেন, কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির নির্দেশে উপজেলা পর্যায়ে সমন্বয়কদের নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলোচনা সভার আয়োজন করি। এ সময় ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির কিছু সদস্য রনজু ইসলামের নেতৃত্বে সভায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং আমাকে মারধর করে।

অন্যদিকে মেহেদী হাসান রনি বলেন, সংগঠনের ব্যানার ব্যবহার করে ঠিকাদার ও চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে প্রকল্প নিয়ে অনিয়ম করছেন সবুজ। আমরা এসব বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে, তিনি আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন।

আহত রাফি ইসলাম বলেন, সবুজ দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের নাম ব্যবহার করে অনিয়ম করছিলেন। উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের উচিত তাকে নজরদারিতে রাখা, যাতে নতুন করে তিনি আর কোনো অনিয়ম করতে না পারেন।

রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।