সিলেটে সুরমা নদীর আকস্মিক ভাঙনে ঝুঁকিতে পড়েছে সিলেটে সরকারি মালিকানাধীন যমুনা অয়েল ডিপো।
ডিপোর লাগোয়া প্রায় দেড়শ’ ফুট জায়গা ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের খোজারখলায় সুরমা নদীর তীরে অবস্থিত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সিলেট ডিপো। ডিপোতে ডিজেল, পেট্রল, অকটেন ও এসকেও’র মোট ৯টি ট্যাংক রয়েছে। সিলেট রেল স্টেশনের আউটার সংলগ্ন এলাকায় এই ডিপো থেকে যমুনা ওয়েল সিলেটে জ্বালানি সরবরাহ করে আসছে।
সম্প্রতি সিলেটে ভারি বর্ষণে ডিপোর উত্তর দিকে সুরমা নদীর তীর হঠাৎ করে ভাঙতে শুরু করে। এরইমধ্যে কিছু অংশ ধসে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ধীরে ধীরে ভাঙনের পরিমাণ বাড়ছে।
খবর পেয়ে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তাগণ ডিপোতে ছুটে যান এবং তাৎক্ষণিকভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেন।
পরে পাউবোর কর্মকর্তা নেহার রঞ্জন সরেজমিনে ভাঙন কবলিত জায়গা দেখতে যান। বিষয়টি যমুনা অয়েল কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছ, ডিপোর উত্তর দিকের দেয়াল ঘেষে দেড়শ ফুট জায়গা ভেঙে পড়ে গেছে। দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে ডিপোটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার শংকা রয়েছে। এটি একমাত্র ডিপো যেখানে পুরো বর্ষা মৌসুমে জাহাজে করে জ্বালানি সরবরাহ করা হয়।
অন্য কোনো কোম্পানি এভাবে জাহাজে করে জ্বালানি সরবরাহ করে না। জাহাজে করে আসা জ্বালানি খালাস করতে স্থাপনকৃত জেটিও নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার শংকা আছে বলে যমুনা অয়েলের ডিপো ইনচার্জ খায়রুল কবির জানিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ নদী ভাঙনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি ইতোমধ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় পর্যন্ত অবহিত হয়েছে। আমরা ঠিকাদার নিয়োগ করেছি। আগামী তিনদিনের মধ্যে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে আপাতত ভাঙন কবলিত জায়গা রক্ষা করা হবে। যমুনার ডিপো রক্ষায় পরবর্তীতে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এনইউ/আরএ