ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ বৈশাখ ১৪৩২, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

সারাদেশ

পঞ্চগড়ে হাসপাতালে রোগীকে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৫
পঞ্চগড়ে হাসপাতালে রোগীকে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশের অভিযোগ

পঞ্চগড়: পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভক্তি রানী (১৮) নামে একলামশিয়া রোগে আক্রান্ত এক রোগীর শরীরে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন (ম্যাগনেসিয়াম সালফেট) পুশ করার অভিযোগ উঠেছে।  

স্যালাইন পুশের পর থেকে ওই রোগী পরিবারের কাউকে চিনতে পারছেন না।

 

গত সোমবার (২১ এপ্রিল) রাতে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করার বিষয়টি দেখতে পান রোগীর স্বজনরা। বর্তমানে ওই নারী পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের একলামশিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন।

এ ঘটনায় ওই নারীর পরিবার জেলা সিভিল সার্জনের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছে। অভিযোগের পর বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন করেছে সিভিল সার্জন।

জানা গেছে, ভক্তি রানী পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদীঘি ইউনিয়নের ছোবারভিটা গ্রামের সবুজ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী।

রোগীর স্বজনরা গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, গত বুধবার ভক্তি রানী একটি ক্লিনিকে ছেলে সন্তান প্রসব করেন। এর পর একলামশিয়ায় আক্রান্ত হলে সোমবার সকালে তাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ সময় হাসপাতালের চিকিৎসক বিভিন্ন ওষুধ ও স্যালাইন দেন। পরে স্যালাইন পুশ করা হয়। তার শরীরে দুই বোতল স্যালাইন পুশ করার পর দেখা যায় স্যালাইনের মেয়াদ নেই। হাসপাতাল থেকে দেওয়া স্যালাইন মেয়াদোত্তীর্ণ। একটি স্যালাইনের প্যাকেটে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ১২/২০২৪, অর্থাৎ চার মাস আগে মেয়াদ শেষ হয়েছে।

রোগীর স্বজন অনিল চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেন, স্যালাইনের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় পরেও নার্সরা ভক্তি রানীর শরীরে পুশ করেছেন। স্যালাইন পুশ করার পর কাউকে চিনতে পারে না। আরেক স্বজন বলেন, একটা স্যালাইন শেষ হয়েছে, পরে আরেকটি নতুন স্যালাইন দিলে লক্ষ্য করি স্যালাইনটির মেয়াদ চার মাস আগে শেষ হয়ে গেছে। পরে স্যালাইন খুলে ফেলা হয়। নার্স মেয়াদের তারিখ না দেখেই স্যালাইন পুশ করে। সে তার দায়িত্বে অবহেলা করেছে। আর কোনো রোগীর সঙ্গে যেন এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে জন্য প্রতিকার এবং বিচার চাই।

ভক্তি রানীর স্বামী সবুজ চন্দ্র রায় বলেন, আমার ভাই স্যালাইনের মেয়াদ উত্তীর্ণ দেখার পরেই নার্সদের বললে তারা খুলে ফেলে। পরে আবার স্যালাইন চাইতে গেলে দেখে ডেট পার। রাতেই বাইরে থেকে কিনে এনে স্যালাইন দেই।

পঞ্চগড় সিভিল সার্জন মিজানুর রহমান বলেন, মৌখিকভাবে বিষয়টি জেনেছি। এ ব্যাপারে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেন, কীভাবে ঘটল ঘটনাটি জানার চেষ্টা করছি। আপাতত রোগীটি সুস্থ আছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।