বিমান দুর্ঘটনায় নিহত তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেনাজ আক্তার হুমাইরাকে শেষ বিদায় জানাল তার পরিবার ও গ্রামবাসী। ছোট্ট হুমাইরাকে হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়েছেন বাবা-মা।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) টাঙ্গাইলের সখিপুরে নিজ গ্রামে জানাজা শেষে দাফন করা হয় তাকে।
“আমার মেয়ে ডাক্তার হবে অথবা ইঞ্জিনিয়ার হবে। সে মেধাবি ছিল। আমার মেয়ে ডালিম পছন্দ করত, এজন্য আমি বাড়িতে ডালিম গাছ রোপণ করেছি-যাতে করে বাড়ি এসে ডালিম খেতে পারে আমার মা হুমাইরা। এই অল্প বয়সে চোখের সামনে এভাবে আমাকে ছেড়ে চলে যাবে, এমনটা কখনো কল্পনাও করিনি। ” ঘরের এক কোণে শুয়ে শুয়ে কথাগুলো বলছিলেন মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষক ও বিমান দুর্ঘটনায় নিহত মেহেনাজ আক্তার হুমাইরার বাবা দেলোয়ার হোসেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেনাজ আক্তার হুমাইরার লাশ ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার হতেয়া-রাজাবাড়ি ইউনিয়নের কেরানীপাড়া এলাকায় নিজ গ্রামে আনা হয়। পরে স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এসময় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
স্থানীয় শামসুল আলম বলেন, এই রকম মর্মান্তিক ঘটনা বাংলাদেশ কখনো প্রত্যাশা করেনি। মুহূর্তের মধ্যেই কতগুলো বাচ্চা শেষ হয়ে গেল। সরকারের কাছে দাবি জানাই এই বিমান বাহিনীর ট্রেনিংগুলো নিরাপদ জায়গায় যেন করা হয়।
আরএ