ঢাকা, বুধবার, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৩ জুলাই ২০২৫, ২৭ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

কুমারখালীতে নদীতে ডুবে বাবা-ছেলের মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৪৫, জুলাই ২২, ২০২৫
কুমারখালীতে নদীতে ডুবে বাবা-ছেলের মৃত্যু প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মরা কালীগঙ্গা নদীতে ডুবে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের জঙ্গলী প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।

 

নিহতরা হলেন- জাহিদুল ইসলাম (৪৫) ও ছেলে জিহাদ (৯)। জাহিদুল একই ইউনিয়নের রফি মণ্ডলের ছেলে।

জানা যায়, জাহিদুল চাঁদপুর ইউনিয়নের পেশায় একজন সরকারি কর্মচারী। তিনি কুষ্টিয়া পল্লী ও দারিদ্র্যবিমোচন ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। তার ছেলে জিহাদ স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।  

স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, জাহিদুল চাকরির পাশাপাশি কৃষিকাজ করতেন। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির পাশের মরা কালীগঙ্গা নদীতে পাট জাগ দিতে যান। কাজ শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে ছেলে জিহাদকে কাঁধে নিয়ে নদীর মাঝখান থেকে তীরে ফিরছিলেন জাহিদুল। এ সময় তিনি হঠাৎ পানিতে ডুবে যান। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে ছেলেও পানিতে তলিয়ে যায়।

ঘটনাটি নদীর তীরে থাকা স্থানীয় ফয়জুল হক (৬৫) নামে এক ব্যক্তি দেখতে পেয়ে আশপাশের লোকজনকে খবর দেন। পরে এলাকাবাসী প্রায় দেড় ঘণ্টা নদীতে তল্লাশি চালিয়ে প্রথমে জিহাদ এবং পরে একই স্থান থেকে জাহিদুলের লাশ উদ্ধার করে।

প্রত্যক্ষদর্শী ফয়জুল হক বলেন, জাহিদুল ছেলেকে কাঁধে নিয়ে তীরে ফিরছিলেন। হঠাৎ তাকে ডুবে যেতে দেখি। ছেলেটাও পানিতে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আমি স্থানীয়দের খবর দেই।

চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশিদুল ইসলাম তুষার জানান, নদীতে ডুবে একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্দ্র প্রসাদ বিশ্বাস বলেন, আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে রওনা দেই। তবে স্থানীয়রা আমাদের পৌঁছানোর আগেই লাশ দুটি উদ্ধার করে।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।