ঢাকা, বুধবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২২ রবিউস সানি ১৪৪৭

রাজনীতি

বিএনপিকে ঠেকানোর জন্যই নির্বাচন বিলম্বিত করা হয়েছে: দুদু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৩০, অক্টোবর ১৪, ২০২৫
বিএনপিকে ঠেকানোর জন্যই নির্বাচন বিলম্বিত করা হয়েছে: দুদু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বিএনপি এখনো দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। নির্বাচন অনেক আগেই হতে পারত, কিন্তু আমার মনে হয় বিএনপিকে ঠেকানোর জন্যই ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন বিলম্বিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আফসার আহম্মদ সিদ্দিকী স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আফসার আহমদ সিদ্দিকীর ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদু বলেন, আমার কাছে মনে হয়, নির্বাচন অনেক আগেই (প্রথম তিন মাসের মধ্যেই) হতে পারত। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কারণে নির্বাচনের সময় পিছিয়ে গেছে। তবে এই নির্বাচন যখনই হোক না কেন, মানুষ প্রত্যাশা করে ও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে—বিএনপি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে এক ভূমিধস বিজয় অর্জন করবে এবং বিএনপি পুনরায় সরকার গঠন করবে।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, একটি রাজনৈতিক সংগঠন আদর্শ, কর্মসূচি এবং নিবেদিত কর্মী ছাড়া টিকে থাকতে পারে না। এই বাস্তবতা আমরা আওয়ামী লীগের পতনের মধ্য দিয়ে দেখেছি। একইভাবে লক্ষ্য করেছি জাতীয় পার্টির নাম আছে, কিন্তু কার্যত দল হিসেবে আর কোনো অস্তিত্ব নেই। আর আওয়ামী লীগ এখন ইতিহাসের এক অধ্যায় মাত্র। আমার মনে হয়, আওয়ামী লীগ আর কখনো রাজনীতিতে কার্যকরভাবে ফিরে আসতে পারবে না, এটা রাজনীতি–সচেতন সাধারণ মানুষও বিশ্বাস করে। মাঝে মাঝে দুই-একটি বিচ্ছিন্ন মিছিল করলেই কোনো সংগঠন দাঁড়িয়ে যাবে এমন ভাবার কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, দিন যত যাবে, শেখ হাসিনা মৃত্যুর দিকে তত ধাবিত হবেন। একদিন তাকে সময়ের কাছেই জবাবদিহি করতে বাধ্য করবে। কতটা নির্লজ্জ হলে একজন মানুষ গণহত্যা সংঘটনের পর, দেশের ব্যাংক লুটপাটের পরও জাতির কাছে ক্ষমা না চেয়ে, দুঃখ প্রকাশ না করেও রাজনীতি করতে চাইতে পারেন! জাতির কাছে এখনো পর্যন্ত তিনি বা তার দল কেউই ক্ষমা চাননি, অনুতাপ প্রকাশ করেননি। তবুও তারা আবার রাজনীতি করতে চায়, এটাই বিস্ময়কর।

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, ততদিন গণতন্ত্র টিকে থাকবে; আর স্বৈরতন্ত্র এই দেশে আর ফিরে আসতে পারবে না। আমরা একে ইতিহাসের রায় হিসেবেই দেখি।

আফসার সিদ্দিকীর স্মৃতিচারণ করে শামসুজ্জামান দুদু আরও বলেন, যশোরে আফসার সিদ্দিকী ও তরিকুল ভাই তারা আমাদের নেতা ছিলেন। এখন তাদের কেউই বেঁচে নেই। সবাই পরলোকগমন করেছেন। কিন্তু তাদের স্মৃতি, আদর্শ, লক্ষ্য ও লড়াই আমাদের জন্য এখনো অনুপ্রেরণার উৎস।

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক জাহানারা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বিএনপির সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, কৃষকদলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কাদের সিদ্দিকীসহ প্রমুখ।

ডিএইচবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ