ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, পিআর নিয়ে আলোচনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অনেকেই সংবিধানের দোহাই দেন। জুলাই সনদের অনেক বিষয়ও তো সংবিধানে নাই।
জুলাই সনদে পিআর যুক্ত করে নির্বাচনের আগেই গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের তৃতীয় ধাপের কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকার গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা এসব কথা বলেন।
মানববন্ধনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতারা ঐতিহাসিক শাপলা চত্ত্বরে অবস্থান নেন।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, সংবিধানের দোহাই দিয়ে মৌলিক সংস্কারকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাকে হত্যা করা যাবে না। সংবিধানের দোহাই দিয়ে যেন-তেন নির্বাচন জাতি মেনে নেবে না। বরং কাঙ্ক্ষিত মানের নির্বাচন হতে হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে হবে। এটা জনগণের দাবি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ আন্দোলনরত দলগুলোর দাবি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র বলেন, তফসিল ঘোষণার আগেই জুলাই সনদের বিষয়ে গণভোট আয়োজন করতে হবে। তা না হলে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হবে এমনকি জাতীয় নির্বাচনও সংকটাপন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। একজন নির্বাচন কমিশনার একটি দলের মতো করে কথা বলছেন। গণভোট আয়োজনের সময় নিয়ে চলমান তর্ক একটি রাজনৈতিক বিতর্ক। কোনো নির্বাচন কমিশনার এ বিতর্কে কোনো দলের পক্ষালম্বন করার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এর আগেও পিআর নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সংবিধানের দোহাই দিয়ে একটি দলের পক্ষালম্বন করেছিলেন। আমরা তারও নিন্দা জানাই।
ঢাকার গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী অব্দি প্রলম্বিত এ মানববন্ধনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর গাবতলী থেকে শাহবাগ পর্যন্ত এবং শাহবাগ থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতারা অংশ নেন।
শাপলা চত্বরের বক্তৃতা মঞ্চে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাউয়ুম, মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ কাশফি, অ্যাডভোকেট বরকতুল্লাহ লতিফ, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, মুফতি মোস্তফা কামাল, মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাকি, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরি, কে এম শরীয়াতুল্লাহসহ মহানগর নেতারা।
টিএ/আরআইএস