গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশের দিন আলোচনায় আসেন শামীম হাসান। সমাবেশ ঘিরে গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠার পর তার কিছু ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জানা যায়, শামীম হাসান সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ ও র্যাব-১০-এ দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতাও আছে তার।
তবে সেদিন কেন এনসিপির সমাবেশে ছিলেন তিনি? আয়রন ম্যান খ্যাতি পেয়ে যাওয়া শামীম বলেন, আমি সেখানে ঈমানী দায়িত্ব থেকে চলে যাই। তিন দিন আগে আমি জানতে পারি এনসিপির প্রোগ্রাম হবে। আমার কিছু সোর্স তথ্য দেয়, এনসিপির শীর্ষ নেতাদের ওপর বড় মাপের হামলা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এনসিপির যারা ছিলেন সেখানে হামলা কিন্তু হয়ে গিয়েছিল। নেতা-কর্মী পৌঁছানোর আগেই সেখানে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা হয়েছে। সেখানে আমি একা দাঁড়িয়ে ছিলাম। এনসিপির নেতারা আমাকে আয়রন ম্যান সম্বোধন করছিল। আসলে এখানে দায়িত্বের ব্যাপার আসে ঈমানদারিত্ব থেকে।
কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক দলের নয়, চাকরির কারণে রাজনীতি করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। সেদিন আমি গেটআপ চ্যাঞ্জ করে ফেলি যাতে পুলিশ সহযোগিতা না করলে যদি আমাকে প্রতিহত করতে হয়, আমি একা যেন ১০-২০ জনকে প্রতিহত করতে পারি।
চাকরি হারানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০২০ সালে তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার আমাকে অবৈধভাবে চাকরি থেকে বের করে দেয়। আমাকে ৪ মাস জেল খাটায়, রিমান্ডের নামে নির্যাতন করা হয়। দুই মাস আমাকে পুলিশ লাইনে বন্দি করে রাখা হয় জামায়াতের ট্যাগ দিয়ে। তারপর থেকে নিজেকে তৈরি করছিলাম এই শেখ হাসিনা-ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কীভাবে নিজেকে তৈরি করা যায়। এরপরই ফিটনেস নিয়ে কাজ শুরু করি।
এনডি