ঢাকা, বুধবার, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৪ সফর ১৪৪৭

রাজনীতি

টেকসই উন্নয়নের শর্ত-স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান: আমীর খসরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:০০, জুলাই ২৯, ২০২৫
টেকসই উন্নয়নের শর্ত-স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান: আমীর খসরু আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতা, পেশাদারিত্ব এবং স্বচ্ছতার অভাব থাকলে টেকসই উন্নয়ন কেবল মুখের কথা হয়ে থাকবে।  

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমদ চৌধুরী অডিটরিয়ামে সেন্টার ফর পলিসি অ্যানালাইসিস অ্যান্ড রিফর্ম আয়োজিত ‘তথ্য-চালিত অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ: ২০৩৫ রূপকল্প’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, যে কোনো টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে শক্তিশালী ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে আর্থিক খাত, ক্যাপিটাল মার্কেট এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত না হলে দীর্ঘমেয়াদি সংকট অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়।

ব্যাংকিং খাতে স্বল্পমেয়াদি আমানতের বিপরীতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেওয়ার প্রবণতাকে অর্থনীতির জন্য একটি ভয়ানক সংকেত হিসেবে আখ্যা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।  

তার মতে, ক্যাপিটাল মার্কেটের বিকাশে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং দলীয়করণ যত কমানো যাবে, অর্থনীতির জন্য ততই মঙ্গলজনক হবে।

আমীর খসরু আরও বলেন, বিএনপি সরকারের সময় বাংলাদেশ ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে পেশাদার লোক নিয়োগ দেওয়ায় কোনো বড় ধরনের স্ক্যান্ডাল বা দুর্নীতির ঘটনা ঘটেনি।  

তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ডেটার গুরুত্ব তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, যার হাতে তথ্য, তার হাতেই ক্ষমতা। অথচ বাংলাদেশে এখনো নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে তথ্যনির্ভরতা গড়ে ওঠেনি। একটি দেশ উন্নয়ন চায় অথচ ডেটা বিশ্লেষণ বা বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করতে পারে না- এটা চরম ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতা কাটাতে হলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও পেশাদারিত্ব অপরিহার্য।

তিনি বলেন, একটি ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করতে জনসংখ্যার সংখ্যা ইচ্ছাকৃতভাবে কমিয়ে ইনকাম বাড়িয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছে, যা শুধু তথ্য বিকৃতি নয়, বরং ভবিষ্যতের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।  

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের উপস্থাপিত তথ্য নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হওয়াকে দেশের নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ার জন্য বিপজ্জনক ইঙ্গিত বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন এবং যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।

এসবিডব্লিউ/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।