ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২, ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৯ মহররম ১৪৪৭

রাজনীতি

সব প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা এনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সরকারের প্রধান কাজ: ড. কামাল হোসেন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:১৪, জুলাই ১৫, ২০২৫
সব প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা এনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সরকারের প্রধান কাজ: ড. কামাল হোসেন গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ব্যারিস্টার ড. কামাল হোসেন।

গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ব্যারিস্টার ড. কামাল হোসেন বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দায়িত্বে আসা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা।

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের যে আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়েছে, তা উপেক্ষা করার সুযোগ নেই।

সরকারকে দক্ষতার সঙ্গে বিষয়গুলো সমাধানের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।

সোমবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক শোকসভায় লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তার বক্তব্য পড়ে শোনান গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।  

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও গণফোরামের সাবেক সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু স্মরণে এ শোকসভার আয়োজন করা হয়।

আওয়ামী লীগের শাসনের ১৫ বছর গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় মোস্তফা মোহসীন মন্টু সক্রিয়ভাবে রাজপথের আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন বলে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন কামাল হোসেন।  

তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ সব আন্দোলনে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। সর্বশেষ জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানেও মোস্তফা মোহসীন সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। তিনি সব সময় স্বপ্ন দেখতেন, মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্ক্ষিত একটি বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক ও মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার। সে লক্ষ্যে তিনি সব সময় জাতীয় ঐক্যের জন্য কাজ করে গেছেন।

বর্তমান বাংলাদেশের অস্থিরতা ও সংকট নিরসনের একমাত্র পথ রাজনৈতিক ঐক্য বলে উল্লেখ করেন কামাল হোসেন।  

তিনি বলেন, ‘এই ঐক্যের ভিত্তি হলো আমাদের জাতীয় চেতনা। এই চেতনা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, বাহাত্তরের সংবিধান ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে নিহিত। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশের অঙ্গীকার ছিল, সাম্য, মানবিক ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বিগত ৫৩ বছরে এ অঙ্গীকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ’

শোকসভা শেষে শুভেচ্ছা বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা যে পরিবর্তনের কথা বলছি, সেটার জন্য মাঠে ঐক্যের প্রয়োজন। বর্তমান যে সংকট চলছে, তা ঐক্যের মাধ্যমে নিরসন সম্ভব। তাই বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। দৃঢ়প্রতিজ্ঞার মধ্য দিয়ে কেবল আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন অর্জন করা সম্ভব। ’

প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন মোস্তফা মোহসীন মন্টু রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা জেলা গেরিলা বাহিনীর প্রধান ছিলেন তিনি। ঢাকা-৩ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন মোস্তফা মোহসীন মন্টু।

আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ