ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২, ২৬ জুন ২০২৫, ০০ মহররম ১৪৪৭

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ প্রসঙ্গে ঐক্যমত, বাস্তবায়ন এখন কমিশনের হাতে: জামায়াত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:১০, জুন ২৫, ২০২৫
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ প্রসঙ্গে ঐক্যমত, বাস্তবায়ন এখন কমিশনের হাতে: জামায়াত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বক্তব্য দিচ্ছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন— এই বিষয়ে বিএনপি ছাড়া প্রায় সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপের ষষ্ঠ দিনের দ্বিতীয় পর্ব শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

সংলাপে প্রধানমন্ত্রী পদে একই ব্যক্তি দুই মেয়াদ বা সর্বোচ্চ ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার বিষয়ে আলোচনার প্রসঙ্গ তুলে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান জানান, বিএনপি ছাড়া অন্য কেউ এই প্রস্তাব থেকে সরে আসেনি। আজকের বৈঠকেও এই বিষয়টি উঠেছে এবং সবাই তাদের পূর্বঘোষিত অবস্থানেই অনড় রয়েছে। এখন কমিশনের ওপর দায়িত্ব— এই বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বাস্তবায়ন কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। জামায়াত আশা করছে, কমিশন এই বিষয়ে দৃঢ় ভূমিকা নেবে।

এদিনের বৈঠকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ যুক্ত করার প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হয়। জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জানান, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল পঞ্চম সংশোধনী অনুযায়ী এই বিশ্বাস অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে একমত পোষণ করেছে। তবে কমিউনিস্ট পার্টিসহ কিছু দল এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি’র পাশাপাশি ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ যুক্ত করার ব্যাপারে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ঐকমত্য পোষণ করেছে।

রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, আজকে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির নাম বাদ দিয়ে নতুন প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়েছে। একই সঙ্গে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) নামও পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন প্রস্তাবিত কমিটিতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, নিম্নকক্ষ স্পিকার, উচ্চকক্ষ স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, প্রধান বিরোধী দল ব্যতীত অন্যান্য বিরোধী দলের দলীয় সদস্যদের মধ্য থেকে একজন, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত একজন এবং প্রধান বিচারপতি কর্তৃক আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। এই প্রস্তাবনাতেও বিএনপি সহ কয়েকটি দল বাদে অধিকাংশ দলই ঐকমত্য পোষণ করেছে।

তিনি বলেন, এই কমিটির প্রস্তাবনা এসেছে যাতে করে রাষ্ট্রের কোনো একক ব্যক্তির স্বৈরাচার হতে না পারে। ফ্যাসিবাদী শাসন যাতে প্রতিষ্ঠা করতে না পারে। এর থেকে দেশ, জাতি, রাষ্ট্রকে রক্ষা করার জন্যই কিন্তু এই প্রস্তাবনার সাথে আমরা একমত হয়েছি।

আজকের বৈঠকে রাষ্ট্রের মূলনীতি, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ (উচ্চকক্ষের নির্বাচন পদ্ধতি), জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন কাঠামো, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি ও নারী প্রতিনিধিত্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে।

ইএসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ