ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩২, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ২৪ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

ঢামেকে জুস খাইয়ে অজ্ঞান করে লুট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৪০, অক্টোবর ১৯, ২০২১
ঢামেকে জুস খাইয়ে অজ্ঞান করে লুট

ঢাকা: ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ভেতরে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন রোগীসহ তিন নারী। স্বজনরা জানিয়েছে, অচেতন করে তাদের কাছ থেকে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল নিয়ে গেছে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা।

ভুক্তভোগীরা হলেন- রোগী মিতা আক্তার (২৫), তার ছোট বোন খুশি আক্তার (২০) ও আরেক রোগীর স্বজন শাহিনূর (৪০)।

এদের মধ্যে মিতা মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার চাইরপাড়া গ্রামের রিকশা চালক মামুনের স্ত্রী। তার ছোটবোন খুশি থাকেন একই উপজেলার চর বোশটমিতে। পেশায় গার্মেন্টস কর্মী তিনি। আর শাহিনূরের বাড়ি দিনাজপুরের দিরিরবন্দর উপজেলায়। তার স্বামীর নাম আবু বক্কর সিদ্দিক।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাতে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ভেতর চেতনানাশক খাইয়ে তিনজনের টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল লুট করা হয়। তাদের স্টোমাক ওয়াশ করানো হয়েছে। বর্তমানে গাইনি ওয়ার্ডের বেডেই তাদের চিকিৎসা চলছে।

ভুক্তভোগী মিতার শ্বশুর আনোয়ার হোসেন বলেন, চার দিন আগে মিতাকে ঢামেকের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তার দেখভালের জন্য ছোটবোন খুশিও সঙ্গে থাকতো। কিন্তু আনসার সদস্যরা রাতে রোগীর সঙ্গে বাড়তি লোক থাকতে দেয় না। এজন্য তারা ওয়ার্ডের বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলেন। পরে মধ্য রাতে রোগীর খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা যায়, মিতা ও তার ছোটবোন অচেতন হয়ে পড়ে আছে। একই সময়ে শাহিনূর নামে অপর এক রোগীর স্বজনকেও জুস খাইয়ে অচেতন করা হয়। অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তার কানের  দুল নিয়ে গেছে।

ভুক্তভোগী মিতা বাংলানিউজকে জানান, মধ্যবয়সী এক নারী দুইটা জুস ও কেক দিয়ে জানান, সেগুলো তাদের শ্বশুর পাঠিয়েছেন। তাদের খেতে বলেছেন। ওই নারী দাবি করেন, তিনিও রোগী নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তিনি চলে যাওয়ার পর দুইবোন মিলে জুস আর কেক খান। আর এর কিছুক্ষণ পরই অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর কি ঘটেছে কিছুই টের পাননি তিনি।

স্বজনরা জানিয়েছেন, মিতার ভ্যানিটি ব্যাগে চিকিৎসার জন্য রাখা ১০ হাজার টাকা চুরি গেছে। এছাড়া তার বোন খুশির স্মার্ট ফোনটি নেই।

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা আনসার সদস্য প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) শাহ আলম বলেন, গাইনি ওয়ার্ডে একটি ঘটনা ঘটেছে। অপরিচিত নারীর দেওয়া জুস খেয়ে তিনজন অচেতন হয়েছিল। বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগেও একই ওয়ার্ডে রোগীদের অচেতন করে টাকা নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুন: ঢামেকে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে রোগীর স্বজন, স্বর্ণ খোয়া

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২১
এজেডএস/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।