ঢাকা, রবিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ জুলাই ২০২৫, ০১ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

নগরীর পথঘাটে এখনও ছন্দ তোলে নরসুন্দরের কাঁচি

শাকিল আহমেদ, স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:৪৬, নভেম্বর ১৯, ২০২০
নগরীর পথঘাটে এখনও ছন্দ তোলে নরসুন্দরের কাঁচি ভ্রাম্যমাণ সেলুন

ঢাকা: এক সময় দেশের গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় চোখে পড়তো ভ্রাম্যমাণ সেলুন। কখনো দেখা যেত বড় কোনো বট গাছের নিচে অথবা বাজার ঘেঁষা দেয়ালের পাশে দু’টি মোড়া বসিয়ে আর একটি স্ট্যান্ডে আয়না লাগিয়ে বসে আছেন নরসুন্দররা।

খরচ কম হওয়ায় চুল-দাড়ি কামাতে সেখানে ভিড় করতেন সাধারণ মানুষ। রাজধানী ঢাকাও এর ব্যতিক্রম ছিল না। তবে দিন দিন আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে শহুরে জীবন, নির্মিত হয়েছে এয়ার কন্ডিশন সমৃদ্ধ সেলুন। তবে সংখ্যায় কম হলেও শহরে এখনো ভ্রাম্যমাণ সেলুন দেখা যার রাস্তা বা রেললাইনের পাশে।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর দয়াগঞ্জ রেললাইনের পাশে বসে কাজ করতে দেখা যায় দু’জন ভ্রাম্যমাণ নরসুন্দরকে। ভ্রাম্যমাণ সেলুনের অতীত-বর্তমান অবস্থা এবং জীবন ও জীবিকা নিয়ে কথা হয় তাদের সঙ্গে।

নরসুন্দর ইব্রাহিম বাংলানিউজকে জানান, ৩০ বছর যাবত আছেন এ পেশায়। এ সুদীর্ঘ সময় তার সঙ্গী একটি মাত্র জলচৌকি আর প্রয়োজনীয় কিছু যন্ত্রাংশ। এ ভ্রাম্যমাণ সেলুনের আয় দিয়েই চলে তার ৬ সদস্যের পরিবার। সেই সঙ্গে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনাও চালাচ্ছেন।

আরেক নরসুন্দর হেলাল জানান, ভ্রাম্যমাণ সেলুনে কাজের অভিজ্ঞতা ১০ বছরের। তার পরিবারেও রয়েছে ৬ সদস্য। অল্প আয় দিয়ে কোনো রকমে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি। কখনো সুযোগ পেলে একটি দোকানে সেলুন পরিচালনার ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি।

আধুনিকতা ও প্রযুক্তির কল্যাণে ভ্রাম্যমাণ সেলুনগুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে। অন্তত ৯০ দশকের লোকজনের স্মৃতিতে উজ্জ্বল এসব সেলুন।

ইব্রাহিম ও হেলালের মতে, ভ্রাম্যমাণ সেলুনে চুল কাটাতে ৩০ টাকা আর দাড়ি কামাতে ২০ টাকা দিতে হয়। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে ভ্রাম্যমাণ সেলুনে মানুষের যাতায়াত আগের চেয়ে আরও কমে গেছে। ফলে আয়ও কমেছে তাদের।

এখনও রাজধানীর গেণ্ডারিয়া, দয়াগঞ্জ নতুন বাজার, সেগুনবাগিচা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় কিছু ভ্রাম্যমাণ সেলুন রয়েছে। আভিজাত্যের ভিড়ে এই সেলুন গুলো এখন খুঁজে পাওয়া মুশকিলও বটে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।