বাণিজ্যিক মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ ২০ ও ২৫ বছর নির্ধারণ করে সড়কে অভিযান পরিচালনা করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। এই অভিযান থেকে রেহাই পেতে দেশের বাস-ট্রাক মালিকরা ইকোনমিক লাইফ ৩০ বছর করার দাবি জানিয়েছে।
রোববার (২৭ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সমন্বয় পরিষদের দাবিগুলো হলো—
১. সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৯৮ ও ১০৫ নম্বর ধারাসহ অন্যান্য সুপারিশকৃত ধারাগুলো সংশোধন করতে হবে।
২. বাণিজ্যিক মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ ২০ ও ২৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছর করতে হবে এবং সমস্যা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত পুরোনো যানবাহনের বিরুদ্ধে বিআরটিএ’র অভিযান স্থগিত রাখতে হবে।
৩. বাজেটে বাণিজ্যিক যানবাহনের ওপর আরোপিত দ্বিগুণ অগ্রিম আয়কর (প্রিজাম্পটিভ ইনকাম ট্যাক্স) কমিয়ে আগের হার বহাল রাখতে হবে।
৪. মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন প্রতিস্থাপনে বাণিজ্যিক রিকন্ডিশন বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, প্রাইম মুভার আমদানির মেয়াদ ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১২ বছর করতে হবে।
৫. দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি থানায় আটক হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মালিকের জিম্মায় ফিরিয়ে দেওয়ার বিধান রাখতে হবে।
৬. মেয়াদোত্তীর্ণ পুরোনো যানবাহনের জন্য স্ক্র্যাপ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
৭. মহাসড়কে তিন চাকার যান (অটো-টেম্পো, অটোরিকশা) ও বিআরটিএ অনুমোদনবিহীন হালকা যানবাহনের জন্য পৃথক লেন চালুর ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. ড্রাইভিং লাইসেন্স ও নবায়ন দ্রুত সরবরাহ করতে হবে এবং শ্রমিক ফেডারেশনের ১২ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম বলেন, সড়ক পথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সচল রাখার স্বার্থে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে (১১ আগস্ট) সরকারের কাছে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য অনুরোধ করছি। অন্যথায় সারাদেশের পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১২ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে ১৫ আগস্ট সকাল ৬টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টার জন্য সব প্রকার বাণিজ্যিক পরিবহন (বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, প্রাইম মুভার) চলাচল বন্ধ থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান প্রমুখ।
ডিএইচবি/আরবি