ঢাকা, বুধবার, ৫ ভাদ্র ১৪৩২, ২০ আগস্ট ২০২৫, ২৫ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করেই রাজীবকে হত্যা করেন শিমুল  

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০:২৮, অক্টোবর ২২, ২০২০
জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করেই রাজীবকে হত্যা করেন শিমুল
 

ঢাকা: জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে নির্মাণশ্রমিক রাজীবকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন শিমুল। রাজীব মেঝেতে পড়ে গেলে পাশে থাকা জিআই তার দিয়ে রাজীবের গলায় পেঁচিয়ে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন শিমুল।

শুধু তাই নয়, হত্যাকাণ্ডের পর ঘাতক শিমুল বিষয়টি তার খালাতো ভাই সানোয়ারকে জানান। এরপর তারা দুইজন মিলে রাজীবের মরদেহ ওই নির্মাণাধীন ভবনের সাত তলার একটি রুমের বারান্দা দিয়ে নিচে ফেলে দেন। তারপর দুইজন পালিয়ে যান।

রাজীব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাতে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলায় অভিযান চালিয়ে আসামি মো. শিমুল ও মো. সানোয়ার হোসেন ওরফে সানোকে গ্রেফতার করে শাহআলী থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার দুই আসামি হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি পুলিশকে স্বীকার করেছেন।

এর আগে, গত ১৪ অক্টোবর রাতে ৮টায় রাজধানীর শাহআলী থানা এলাকার চিড়িয়াখানা রোডে একটি নির্মাণাধীন ভবনের পাশ থেকে নির্মাণশ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রাজীব শাহআলী থানা এলাকার কুমিরশাহ মাজারের পাশে গ্রীনসিটি মাস্টার বিল্ডার্স নামে প্রতিষ্ঠানের বিল্ডিং নির্মাণ প্রজেক্টে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। এ ঘটনায় গত ১৬ অক্টোবর শাহআলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) শাহআলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, নিহত রাজীব ও ঘাতক শিমুল দু’জনই নির্মাণশ্রমিক। তারা গ্রীনসিটি মাস্টার বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠানের বিল্ডিং নির্মাণ প্রজেক্টে একই সঙ্গে কাজ করতেন। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মাণশ্রমিক রাজীবকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন শিমুল। এরপর মরদেহ সরিয়ে ফেলতে শিমুল ও তার খালাতো ভাই সানো রাজীবের মরদেহ নির্মাণাধীন ওই ভবন থেকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান।

তিনি বলেন, এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চেষ্টা চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে আসামি শিমুল ও সানোয়ারকে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর নিজ গ্রামে চলে যান তারা। তারা দু’জন ওই প্রজেক্টের নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।    

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামি শিমুল হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এদিকে রাজীবের মরদেহ সরিয়ে ফেলতে শিমুলের খালাতো ভাই সানোয়ারের ভূমিকা ছিল বলেও জানিয়েছেন শিমুল। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২০
এসজেএ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।