ওইদিন সকালে হেলিকপ্টার যোগে বঙ্গবন্ধু উপজেলার পোড়াগাছা পৌঁছান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংক্ষিপ্ত ভাষণ শেষে ওড়া-কোদাল হাতে নিয়ে স্বহস্তে মাটি কেটে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্থানটিতে স্থানীয়রা ‘বঙ্গবন্ধু শেখের কিল্লা স্বপ্ন কমপ্লেক্স’ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে।
গত ১৮ ডিসেম্বর ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত শেখের কিল্লা স্থানটি পরিদর্শনে আসেন। স্থানীয় সুধি সমাবেশে ভূমিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু পদধুলির সঠিক স্থানটি চিহ্নিত করেন ‘শেখের কিল্লা স্মৃতি স্তম্ভ’ নির্মাণের আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো কাজ শুরু হয়নি।
স্থানটির গুরুত্ব ও ইতিহাস তুলে ধরতে বেসরকারি সংস্থা ‘ডরপ’ এর উদ্যোগে কয়েক বছর পূর্বে ‘শেখের কিল্লা মাইলস্টোন’ স্থাপন করা হয়।
ডরপ এর প্রতিষ্ঠাতা এএইচএম নোমান বলেন, সেদিন ‘দেশ গড়ার ডাক’ দিতে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, দেশ আমাদেরই গড়তে হবে, উৎপাদন বাড়াতে হবে, প্রত্যেক বাড়িতে একটি করে গাছ হলেও লাগাতে হবে। স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে দেশ গড়া ও অর্থনৈতিক মুক্তি আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি বলেন, এ অঞ্চলের মানুষের একান্ত আশা-আবেদন ‘শেখের কিল্লা’ স্থানে একটি স্বপ্ন স্মৃতিস্তম্ভ, পর্যটক রেস্ট হাউজ, স্থানীয় কৃষ্টি কালচার, তার ভাষণ ইতিহাসসহ পাঠাগার সম্বলিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখের কিল্লা স্বপ্ন কমপ্লেক্স’ স্থাপন করা। এতে করে স্থানটির গুরুত্ব তৈরি হবে এবং মেঘনা নদীসহ একটি পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে উঠবে।
স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা ‘বঙ্গবন্ধু শেখের কিল্লা স্মৃতি ইতিহাস রক্ষা কমিটি’র সদস্য সচিব মো. মোমিন উল্যাহ জানান, ২০ ফেব্রুয়ারি রামগতিতে বঙ্গবন্ধুর আগমনের ৪৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিকেল ৩টায় ‘শেখের কিল্লা মাইলস্টোন’ পাদদেশে সার্বজনীন কর্মসূচি পালন করা হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি রক্ষা করতে গিয়ে এলাকার উন্নয়ন হবে। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে সঠিক স্থানে স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের জন্য আমরা সরকারের কাছে জোড় দাবি জানাই।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০
এসআর/এফএম