ঢাকা, রবিবার, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১৭ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

হয়রানির অভিযোগে তহশিলদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০:১৬, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
হয়রানির অভিযোগে তহশিলদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ

ঢাকা: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা/তহশিলদার নুর আলমের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরীকে নির্দেশ দিয়েছেন ভূমি সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞিপ্তিতে একথা জানানো হয়।  

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একজন সেবাপ্রার্থীকে আইনসঙ্গত সেবা ও তার প্রাপ্য অধিকার থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য দিয়ে বঞ্চিত করার কারণে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নুর আলমের বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভূমি সচিব নীলফামারীর জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, একটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ভূমি সচিব গত সপ্তাহে নীলফামারীর জেলা প্রশাসককে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার নীলফামারীর জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বেলায়েত হোসেনকে বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত করতে পাঠান।  

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমিনুর রহমানের বাড়ির উঠোনের সামনে ইউএনও ও এসিল্যান্ড ভূমি সেবাপ্রার্থী মো. আ. হাফিজ এবং তহশিলদার নুর আলমকে মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের সময় মো. আ. হাফিজ জানান, একটি সম্পত্তি নামজারি করার জন্য ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নুর আলমের সঙ্গে তার ২৫ হাজার টাকার চুক্তি হয়। উক্ত চুক্তির অগ্রিম হিসেবে তিনি সংশ্লিষ্ট তহশিলদারকে এক হাজার টাকা দেন। যদিও পরবর্তীকালে উক্ত নামজারি সম্পন্ন হয়নি। তিনি তার দেওয়া এক হাজার টাকাও ফেরত পাননি। পরে তিনি (সেবা প্রার্থী) তার সম্পত্তির ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের জন্য নুর আলমকে আবারও তিন হাজার টাকা দেন। নুর আলম তাকে ৭৫ টাকার দাখিলা দেন এবং কিছুদিন আগে বাকি ২৯শ ২৫ টাকা ফেরত দেন।

অন্যদিকে নুর আলম জানান, অভিযোগকারীর কাছে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে উক্ত টাকা চান। তবে, ভূমি উন্নয়ন কর কীভাবে ২৫ হাজার টাকা হয় তার কোনো ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি। অর্থাৎ অভিযোগকারীর অভিযোগের সত্যতা রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। পরে নীলফামারীর জেলা প্রশাসক তদন্ত প্রতিবেদন ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠালে ভূমি সচিব এ নির্দেশ দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০ 
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।