ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

খাল দখলমুক্ত করতে ফেনীতে উচ্ছেদ অভিযান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৩১, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
খাল দখলমুক্ত করতে ফেনীতে উচ্ছেদ অভিযান

ফেনী: ফেনী সদর উপজেলার কাজীরবাগ ও মালীপুর মৌজায় কুমাড়িয়া (আই-আর ১৮সি) খালের পাড়ে ৫০টির বেশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে ফেনী জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে রানীর হাটের পূর্ব এলাকা থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।

অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন- ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান, ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক পি কে এম এনামুল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর (সার্কেল) আতোয়ার রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন চৌধুরী, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম, ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন সুলতানা, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার রাশেদুজ্জামান, নিয়তি রানী কৈরী, ফেনী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মৌমিতা দাস।

 

এর আগে ফেনীর রানীরহাট বাজারে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে মানববন্ধনে অংশ নেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

সচিবালয়ে পানিসম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি নিয়ে সারাদেশের জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন। কনফারেন্সে খাল-নদী ও জলাশয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে মতবিনিময় ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন পানিসম্পদ সচিব।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন জানান, রানীর হাটের কুমড়িয়া খালের প্রায় এক কিলোমিটার অংশে ৫০টির বেশি স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে প্রায় সবক’টি স্থাপনায় অভিযানে উচ্ছেদ করা হচ্ছে।

ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান বলেন, নিয়ম অনুযায়ী খাল থেকে ১২ ফুট দূরে ভবন করতে হয়। কিন্তু এসব ভবন তো তা অনুসরণ করেনি। উল্টো ভবন নির্মাণের জন্য খালের জায়গা দখল করেছে। তাই এসব ভবন ভেঙে ফেলা হচ্ছে। অভিযানের আগে দখলদারদের বার বার নোটিশ দেওয়া হয়েছে তারা কর্ণপাত করেনি। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৩০০টির বেশি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। দখলদাররা যতোই ক্ষমতাধর হোক না, পার পাবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
এসএইচডি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।