অন্যদিকে সদরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পাশাপাশি সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদও ফাঁকা রয়েছে সেই ফেব্রুয়ারি মাস থেকে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় সূত্র জানায়, গেল ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে যান এসিল্যান্ড নাহিদ তামান্না।
সূত্র জানায়, এসিল্যান্ড থাকাবস্থায় মাসে শতাধিক খারিজের কাজ হলেও কর্মকর্তা না থাকায় খারিজসহ ভূমি সংক্রান্ত কাজে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। এসিল্যান্ডের অনুপস্থিতিতে এ দায়িত্ব পালন করে থাকেন ইউএনও, কিন্তু নীলফামারী সদর ইউএনও বদলী হওয়ায় দুই পদই ফাঁকা।
বদলী হওয়ায় ২১ মার্চ রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় যোগদান করেন নীলফামারী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভুইয়া।
এখানে অতিরিক্ত হিসেবে ২২ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম গোলাম কিবরিয়া। দুই উপজেলায় অতিরিক্ত চাপের কারণে সদরের দায়িত্ব ছেড়ে দেন তিনি। ২৮ মার্চ থেকে অতিরিক্ত হিসেবে দায়িত্ব নেন জলঢাকা ইউএনও সুজা উদ দৌলা। এখন পর্যন্ত রয়েছেন তিনি।
অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সুজা উদ দৌলা জানান, দুই উপজেলারই কাজ করতে হচ্ছে জলঢাকায় থেকে নতুবা এখানে এসে। স্বাভাবিকভাবে একজন না থাকলে সেখানে একটু প্রভাব পড়বেই। তারপরও করেই যাচ্ছি। দ্রুত একজন ইউএনও পদায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন বলেন, বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রাণালয়ে জানানো হয়েছে। দ্রুত সদরে ইউএনও হিসেবে পদায়ন করা হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
এসএইচ