ঢাকা, শনিবার, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

বাকৃবি কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ

বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:০০, মে ১৮, ২০১৯
বাকৃবি কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ

বাকৃবি (ময়মনসিংহ): বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার (১৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদে অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীরা একাধিক অনিয়েমের অভিযোগ করেন।  

জানা যায়, তৃতীয় শ্রেণিতে কর্মচারী নিয়োগে ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে দুই দফায় দেড় শতাধিক পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এতে প্রায় তিন সহস্রাধিক প্রার্থী আবেদন করেন। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচটি কেন্দ্রে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে না পারা প্রার্থীরা জানান, পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রার্থীদের নিজ নিজ জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে। কিন্তু অনেক প্রার্থী জাতীয় পরিচয়ত্রের ফটোকপি এবং যারা এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি তারা জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি নিয়ে পরীক্ষা দিতে যান। জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও অনলাইন কপি থাকলেও অনেক প্রার্থীকেই পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। এতে পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পারা প্রার্থীরা কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে দায়িত্বরতদের কাছে পরীক্ষা দিতে দেওয়ার অনুরোধ জানায়।  

প্রায় আধাঘণ্টা পর করিম ভবন ব্যতীত অন্যান্য কেন্দ্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও অনলাইন কপি নিয়ে আসা প্রার্থীদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়। আধাঘণ্টা পর পরীক্ষায় বসতে দিলেও তাদের অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চাকরি প্রার্থীরা।  

অন্যদিকে, করিম ভবন কেন্দ্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও অনলাইন কপি নিয়ে আসা প্রার্থীদের পরীক্ষায় একেবারেই বসতে দেওয়া হয়নি। তবে ওই কেন্দ্রে প্রবেশপত্র ছাড়ায় এক প্রার্থীকে পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেওয়ারও অভিযোগ করেন প্রর্থীরা।  

এ বিষয়ে নিয়োগ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, পরীক্ষার প্রবেশপত্রে স্পষ্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া ছিল। তাই জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপি ছাড়া কাউকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। হঠাৎ করে উপ-উপাচার্য জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপি ছাড়াও প্রার্থীদের পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেন। এ কারণে কয়েকটি কেন্দ্রে অনেকের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন পর নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ায় অনেকে অনেকেই অনেক কথা বলবেন। তবে নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।