পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার গণমাধ্যমকে জানান, তারা রাজশাহী অফিসকে বলেছেন জরুরি ভিত্তিতে তথ্য-উপাত্ত পাঠানোর জন্য। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দফতরের মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চিঠি পেয়েছেন বলেও জানান পিবিআইর ডিআইজি।
পিবিআই রাজশাহী কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, রাওধা আত্মহত্যার ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্টসহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন চেয়েছে পুলিশ সদর দফতর। শিগগিরই সেগুলো পাঠানো হবে।
তিনি আরও জানান, মডেলকন্যা রাওধা যে আত্মহত্যাই করেছিলেন সেটা পিবিআই এর তদন্তেও পাওয়া গেছে। তারা এরই মধ্যে রাওধার আত্মহত্যার তদন্তকাজ শেষ করেছেন। এ ঘটনায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদনও দাখিল করেছেন।
এদিকে, পুলিশ ও সিআইডিসহ অন্য সংস্থার তদন্ত কার্যক্রম শেষে পঞ্চমবারের মতো এ বিষয়ে তদন্তকাজ চালাচ্ছিল পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট পিবিআই। রাওধা রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
এর আগে ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ ইসলামী ব্যাংক মেডিকেলের ছাত্রী হোস্টেল থেকে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার মৃত্যুর পর থেকেই শাহ মখদুম থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ ও সিআইডি তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। রাওধার বাবা মোহাম্মদ আতিফ বারবারই পুলিশের আত্মহতার প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে আসছিলেন।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে রাওধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি তদন্ত করার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৯
এসএস/এএ