ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

বাজার নিয়ন্ত্রণে দুই সিটির ৮ টিম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৪৩, মে ৮, ২০১৯
বাজার নিয়ন্ত্রণে দুই সিটির ৮ টিম প্রত্যেক বাজারে টাঙানো হয়েছে মূল্যতালিকা

ঢাকা: ঢাকা মহানগরীর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও কাঁচামালের বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে আট টিম। দুই সিটি করপোরেশনের পাঁচটি অঞ্চলের মোট ১০টিতে একটি করে টিম কাজ করছে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া বাজারগুলোতে সরকার নির্ধারিত দামেই পণ্য ও দ্রব্য বিক্রি হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বুধবার (৮ মে) সকাল থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার বিভিন্ন বাজার ও এলাকায় অভিযান শুরু করে এসব টিম। ডিএনসিসির উত্তরা (অঞ্চল-১), মিরপুর (অঞ্চল-২), মহাখালী (অঞ্চল-৩) এবং মোহাম্মদপুর এলাকায় (অঞ্চল-৫) বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

অঞ্চলগুলোর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা নিজ নিজ অঞ্চলের টিমে নেতৃত্ব দেন।  

অন্যদিকে ডিএসসিসির অঞ্চলের মধ্যে সেগুনবাগিচা-কাকরাইল (অঞ্চল-১), শান্তিনগর (অঞ্চল-২), কাপ্তানবাজার (অঞ্চল-৪) এবং ধলপুর-যাত্রাবাড়ি (অঞ্চল-৫) এলাকায় বাজার মনিটরিং টিম পরিচালনা করা হয়। এসব অঞ্চলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এতে নেতৃত্ব দেন।
 
রাজধানীর বেশিরভাগ বাজার ও দোকানেই সিটি করপোরেশন এবং কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি হচ্ছে বলে জানান মনিটরিং টিম সংশ্লিষ্টরা। তবে কোথাও কোথাও অনিয়ম হচ্ছে বলেও জানান তারা। আর যেখানে নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে না সেখানে জরিমানার পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি তাদের।
 
ডিএসসিসির অঞ্চল-১ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সেগুনবাগিচা ও মালিবাগের বেশ কয়েকটি বাজার এবং দোকানে মনিটরিং করেছি আমরা। মোটামুটি সব জায়গায়ই নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে দেখেছি, বিশেষ করে মাংস। সুপারশপগুলোও আমাদের নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করছে। তবে একটি দোকানে বেশি দামে মাংস বিক্রি করতে হাতেনাতে ধরেছি আমরা। ওই বিক্রেতাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
 
প্রায় একই রকম তথ্য পাওয়া যায় ডিএসসিসির অন্য টিমগুলোর পক্ষ থেকে। অঞ্চল-৪ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উদয়ন দেওয়ান বলেন, কাপ্তানবাজারে মাংস বেশি দামে বিক্রি করা হয় বলে একটি অভিযোগ ছিল আমাদের কাছে। আমরা এখানে আসলাম। তবে নির্ধারিত দামেই মাংস বিক্রি হতে দেখেছি আমরা। দোকানগুলোতে নির্ধারিত দামের মূল্য তালিকাও ঝুলানো আছে।
 
অন্যদিকে ডিএনসিসির অঞ্চল-২ এর নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শফিউল আজম বাংলানিউজকে বলেন, মিরপুরের প্রায় ছোট বড় প্রতিটি বাজারে মনিটরিং করেছি। কোথাও বেশি দামে পণ্য বা মাংস বিক্রি করতে দেখিনি। কাউকে জরিমানা করা হয়নি। আমরা নিয়মিত এটা মনিটরিং করবো।
 
পুরো রমজান মাসে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনশীল রাখতে মূল্য নির্ধারণ করে দেয় সিটি করপোরেশন এবং কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। সেই হিসেবে প্রতিকেজি দেশি গরুর মূল্য ৫২৫ টাকা, বিদেশি বা বোল্ডার গরুর মাংস ৫০০ টাকা ও মহিষের মাংস ৪৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।  

একই সঙ্গে প্রতিকেজি খাসির মাংস ৭৫০ টাকা এবং ভেড়া ও ছাগীর মাংস ৬৫০ টাকা নির্ধারিত হয়। এই দামের মধ্যে পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে পুরো রমজান মাস জুড়েই রাজধানীর বাজারগুলো মনিটরিং করা হবে বলে জানায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা মে ০৮, ২০১৯
এসএইচএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।