তিনি বলেছেন, আগামী অর্থবছরে এডিপিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে পরিবহন খাত, টাকার পরিমাণে তা ৫২ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা। এডিপি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভায় অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে।
বুধবার (০৮ মে) শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের এডিপির বর্ধিত সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত এডিপির অনুমোদন দেয়া হয়। একই সঙ্গে ৯ হাজার ৬২০ কোটি টাকা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার জন্য অনুমোদন দেয়া হয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, আমরা নতুন এডিপির আকার গ্রহণ করেছি। এটা উপস্থান করা হবে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য।
তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়নের আকার বাড়ছে। এর সঙ্গে বাড়ছে এডিপির আকারও। আমরা এডিপি আকারের ইতিহাস সৃষ্টি করছি। যেসব প্রকল্প বার বার নতুন এডিপিতে যোগ করা হয় সেই রীতি আমরা ভেঙে ফেলবো।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মানুষের কথা মাথায় রেখে শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন কাজ করছেন। সেই কথা মাথায় রেখেই এডিপি সাজানো হচ্ছে। সড়ক, বিদ্যুৎ, পানিসম্পদের উন্নয়নে কাজ করছি। আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কাজ করছি। সকল বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েই নতুন এডিপি।
তিনি বলেন, চলতি বছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৫৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন করা হয়েছে; টাকার অংকে তা ৯৬ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা। গতবছর এই সময়ে এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছিল ৫২ দশমিক ৪২ শতাংশ, যা টাকার অংকে ৮২ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৯
এমআইএস/এমএ