ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ ভাদ্র ১৪৩২, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

শ্রীলঙ্কায় শেখ সেলিমের মেয়ে জামাই আহত, নাতি নিখোঁজ 

মহিউদ্দিন মাহমুদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০:৫৫, এপ্রিল ২২, ২০১৯
শ্রীলঙ্কায় শেখ সেলিমের মেয়ে জামাই আহত, নাতি নিখোঁজ 

ব্রুনেই থেকে: শ্রীলঙ্কায় বর্বরোচিত বোমা হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের মেয়ে জামাই আহত হয়েছেন এবং নাতি নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ব্রুনেই সফররত প্রধানমন্ত্রী রোববার (২১ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এম্পায়ার অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাব হোটেলের বলরুমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ কথা জানান

শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, আসলে সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই, এদের কোনো ধর্ম নেই, এদের কোনো জাত নেই, এদের কোনো দেশ নেই, কিচ্ছু নেই। এরা সন্ত্রাসী।

এদের বিরুদ্ধে সবাইকে সর্তক হতে হবে, সোচ্চার হতে হবে। কারণ এরা মানুষের জীবন নষ্ট করে, মানুষের জীবন ধ্বংস করে দেয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরেকটা দুঃখজনক ঘটনা হলো শেখ সেলিমের মেয়ে তার জামাই ও দুই বাচ্চা নিয়ে শ্রীলঙ্কায় ছিল, সেখানে তারা রেস্টুরেন্টে খাচ্ছিলো। সেখানে বোমা হামলা হয়েছে। জামাই আহত হয়ে হাসপাতালে, বাচ্চাটার এখনো কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না। আপনারা দোয়া করেন।

সংসদ সদস্য শেখ সেলিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই। সেলিমের মেয়ে শেখ সোনিয়া তার স্বামী মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স ও দুই ছেলেকে নিয়ে বেড়াতে গেছেন শ্রীলঙ্কায়। তারা উঠেছেন কলম্বোর পাঁচ তারকা হোটেল সাংগ্রিলায়। সকালে তিনটি গির্জার পাশাপাশি যে তিনটি হোটেলে হামলা হয়েছিল, সাংগ্রিলা তার অন্যতম। বাকি দু’টি হোটেল হলো কিংসবারি এবং সিনামোন গ্র্যান্ড হোটেল।

এই হামলায় কোনো বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন কি-না, তা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, বোমা হামলার ঘটনাটির পর এখন পর্যন্ত দু’জন বাংলাদেশি ‘আনঅ্যাকাউন্টেড ফর’ (খোঁজ মিলছে না)। আমরা জেনেছি একটি পরিবারের চারজনের মধ্যে দু’জন ‘রিপোর্টেড’ (তাদের খোঁজ আছে)। বাকি দু’জনের একজন শিশু ও একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ‘আনঅ্যাকাউন্টেড ফর’।  

তখন পর্যন্ত ওই ‍দু’জনের পরিচয় জানা যায়নি বলে উল্লেখ করেন শাহরিয়ার আলম।

সকালে তিনটি হোটেল ও তিনটি গির্জায় ছয়টি বোমা বিস্ফোরণের পর বিকেলে আরেকটি হোটেলসহ দু’টি স্থানে হামলা হয়। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ২০৭ জন মানুষের প্রাণ ঝরেছে। এদের মধ্যে ৩৫ জন বিদেশিও রয়েছেন। আহত হয়েছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কিছু লোক। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
এমইউএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ