বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সাভার মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ মিজান শাফিউর রহমান।
ঘটনা
গত ২ মার্চ সাভারের ভাকুর্তায় আ. মজিদের ছেলে মতিউর রহমানকে (৪০) হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
১১ মার্চ সাভারের ঝাউচর এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে অটোরিকশা ছিনতাই করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত রাজশাহীর আবদুল্লাহ তুষারসহ রংপুরের গঙ্গাচরা থানার বড়মধর গ্রামের জসিমের ছেলে মিলন (৩৫)। মিলনকে গ্রেফতারের পর অটোরিকশা ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র জব্দ করে পুলিশ।
ওই অভিযুক্তরা ২৭ মার্চ কেরানীগঞ্জ থেকে জাকিরের অটোরিকশা ভাড়া করে তাকে চাকু দিয়ে হত্যা করে ওই অটোরিকশাটি ছিনতাই করে।
গত ১৪ এপ্রিল সাভার চৌরঙ্গী মার্কেটের সামনে সবজি বিক্রেতা সিরাজুল ইসলামের ছেলে মহসিনকে (২১) কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায় ছিনতাইকারীরা। এ অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় মানিকগঞ্জের কানারচর গ্রামের ইয়ূসুফের ছেলে রতন (৩৫), ঢাকার সেনাইল গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে হারুন অর রশীদ (৪০), সিরাজগঞ্জের জামতলা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে শান্ত (৩৫) ও সিরাজগঞ্জের জামসিং এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে শাওনকে (২৭)।
এদিকে ৮ এপ্রিল সাভার মডেল থানাধীন পদ্মা মোড় এলাকায় আবুল কাশেম (২১) নাম একজন শ্রমিককে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন- ঢাকা জেলার সাভার থানার শ্যামপুর বাজার এলাকার শাহিদুল ইসলামের ছেলে শাকিল ওরুফে আলামিন (১৭) ও একই থানার হেমায়েতপুর রিশিপাড়া এলাকার সূর্য কুমার দাসের ছেলে তপু চন্দ্র দাস (১৯)।
অপর দিকে গত ১১ এপ্রিল সন্ধ্যায় হুমায়ূন মোবাইল ফোনে কৌশলে ডেকে নিয়ে সাভারের ফুলবাড়ীয়া মাছ বাজার সংলগ্ন বংশী নদীতে ট্রলারে নিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। এর তিনদিন পর (১৪ এপ্রিল) সকালে বংশী নদী থেকে হুমায়ূনের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে সাভার থানা পুলিশ।
এসপি শাহ মিজান সাফিউর রহমান বলেন, বিগত কয়েক মাস ধরে ঢাকা জেলার সাভার, আশুলিয়া, কেরানীগঞ্জ ও ধামরাইয়ে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হত্যা ও ছিনতাই সংগঠিত হয়। এতে করে পুলিশের উদ্বেগ বেড়ে যায়। ২ মার্চ চালককে হত্যা করে একটি অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় একটি স্যান্ডেল। ওই স্যান্ডেলের মালিককে খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, অপরাধী চক্রের অনেক তথ্য। এসব তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ভয়ংকর অপরাধী চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সারাদেশে এ নেটওয়ার্কের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাইদুর রহমান, সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ, ওসি (তদন্ত) সওগাতুল আলম ও ঢাকা জেলার উত্তর ডিবি পুলিশের ওসি আবুল বাশার।
বাংলাদেশে সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
জিপি