মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আশুলিয়ার ধউর সেতু থেকে শুরু হয়ে কামাড়পাড়া সেতু পর্যন্ত এ অভিযান চলে।
এতে নেতৃত্ব দেন- বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম-পরিচালক ও ঢাকা নদী বন্দর নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা একেএম আরিফ উদ্দিন এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান।
অভিযানে তুরাগ নদীর পারে অবৈধভাবে গড়ে উঠা নাভানা পাইপ ফিটিংসয়ে গোডাউন, ডম ই-নো কংক্রিট, ম্যাক্রো মটরস অ্যান্ড পানি সার্ভিসিং সেন্টার ও ইব্রাহিম সেনেটারি ওয়ার্কসপসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া উচ্ছেদ হওয়া জমি ভরাট করা বালু নিলামে বিক্রয় করা হয়।
আরিফ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকার চারপাশের নদ-নদী উচ্ছেদ শেষে অবৈধ দখলকারীদের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের জন্য মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ। এজন্য বুড়িগঙ্গা-তুরাগের দখলদারদের একটি নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি না হলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। অভিযানটি চলবে টানা তিনদিন।
তিনি বলেন, সরকারের মূল উদ্দেশ্য নদীর দু’পাশের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনা। রমজানের আগেই রাজধানীর আশপাশের তিনটি নদীতেই উচ্ছেদ অভিযান শেষ করা হবে। রমজান ও ঈদে বেগ পেতে যেন না হয়, সেক্ষেত্রে উচ্ছেদ অভিযানের গতি আরও বাড়ানো হবে।
তিনি আরও বলেন, অবৈধ দখলদারদের কোনো ধরণের ছাড় পাওয়ার ব্যবস্থা নেই। তবে আদালতের হস্তক্ষেপ থাকলে সেটা আলাদা বিষয়। নদীর উভয়পাশে মূলত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং আবাসিক প্রকল্প বেশি রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড একই রেখায় অবস্থিত। তারা যদি কোনো সহযোগিতা চায় তাহলে তা করা হবে বলেও জানান তিনি।
অভিযানে বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী পরিচালক নূর হোসেনসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেয়।
বাংলাদেশে সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
জিপি